চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড রোগী পিতার পাশে যেতে বাধা পেয়ে বাগবিতণ্ডা

প্রহরীর বেদম প্রহারে আহত অসুস্থ পিতার ছেলে মোমিন
স্টাফ রিপোর্টার: পিতা মৃত্যুশয্যায়। সুস্থ করতে হলে পিতাকে নিতে হবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ছেলে মোমিন তখন দিশেহরা। এ অবস্থায় পিতাকে হাসপাতালের অভ্যন্তর থেকে বের করতে গেলে প্রহরীর অবর্ণনীয় প্রহরায় গুরুতর জখম হতে হয়েছে মোমিনকে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের সরোজগঞ্জ শম্ভুনগরের ৯০ বছর বয়সী লুৎফর রহমানকে গত বুধবার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক গতকাল শনিবার সকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ পিতাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে সুস্থ করতে না পারায় যখন দিশেহারা হয়ে জোগাড়জান্তিতে ব্যস্ত তখনই ঘটে বিপত্তি। মোমিন ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, আব্বাকে যখন ডাক্তাররা রাজশাহী নেয়ার জন্য বলেন, তখন অ্যাম্বুলেন্স জোগাড়সহ আত্মীয়-স্বজনকে জানানোর কাজ নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ি। আনুমানিক ১২টার দিকে হাসপাতালে অভ্যন্তরে চিকিৎসাধীন পিতার পাশে যেতে চাইলে গেটে থাকা দারোয়ান সাইতুল ইসলাম বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ভেতরে অসুস্থ আব্বা আছে বলে জানালে উল্টো গরম দিতে থাকে। কিছুটা জোর করে ভেতরে যেতে গেলে মারপিট শুরু করে। মারতে মারতে নিয়ে যায় আরএমওর চেম্বারে। অবর্ণনীয়ভাবে মারপিট করেছে।
বিষয়টি জানারপর ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার বলেন, এভাবে কোনো ভিজিটরকে মারপিট করা ঠিক হয়নি। তবে ভিজিটরদেরও নির্ধারিত সময়ে অনুমতিপত্র নিয়ে প্রবেশ করা উচিৎ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের স্বার্থেই গেটে গেটম্যান রাখা হয়েছে। পরে মারপিট খেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় মোমিন তার অন্য ভাইদের সাথে নিয়ে পিতাকে রাজশাহী নেয়ার প্রক্রিয়া করেন।