গাংনী প্রতিনিধি: বায়রা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির কর্মী মেহেরপুর গাংনীর করমদি গ্রামের আনারুল ইসলামের ফসল তছরূপ করা হচ্ছে। সদ্যসমাপ্ত আমন মরসুমের ধান কাটার পরও ঘরে তুলতে না পারায় ক্ষেতে বিনষ্ট হচ্ছে। অপরদিকে বিভিন্ন প্রকার সবজি ক্ষেতেও যেতে দেয়া হচ্ছে না আনারুল ও তার পরিবারের লোকজনকে। এতে চরম আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন আনারুল ইসলাম।
বায়রা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি গ্রাহকদের মেয়াদপূর্তির পলিসি সঞ্চয় ফেরত না দেয়ায় গ্রাহকরা বাড়িছাড়া করেছে আনারুলকে। তবে তার ফসল তছরূপের বিষয়টি এলাকায় নিন্দার ঝড় উঠলেও গ্রাহকদের ভয়ে আনারুলের পাশে কেউ দাঁড়াচ্ছে না।
জানা গেছে, গত ২৩ অক্টোবর আনারুল ইসলামের ওপর চড়াও হয় করমদি গ্রামের কাবের উদ্দীন, মাসুদ, সাজু, আনিছুর, মোশারেফ, মোতালেব ও তপনসহ বেশ কয়েকজন। তাদের তাড়া খেয়ে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয় আনারুল। তাদের হুমকি ও হামলার ভয়ে এখনো বাড়িছাড়া রয়েছেন আনারুল ইসলাম। এরা সকলেই বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির গ্রাহক।
আনারুল ইসলাম ও তার পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে, গেল আমন মরসুমে গ্রামের মাঠে আট কাঠা জমিতে ধান আবাদ করা হয়। শ্রমিক দিয়ে ধান কেটে আঁটি বাধার পর হুমকিদাতারা বাধা দেয়। এতে ধান ঘরে তোলা সম্ভব হয়নি। সেই ধানগুলো এখনো ক্ষেতে পড়ে রয়েছে। অপরদিকে আরও কিছু জমিতে লাউ, মূলা ও সিম রয়েছে। এ ক্ষেত থেকেই কোনো সবজি তুলতে দেয়া হচ্ছে না। ফলে তিন লক্ষাধিক টাকার আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন আনারুল ইসলাম। একদিকে ঘরবাড়ি ছাড়া অপরদিকে ফসল তছরূপের ঘটনায় অসহায় হয়ে পড়েছেন আনারুল।
আনারুল ইসলাম বলেন, বায়রা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির কেউ তার খোঁজ নিচ্ছে না। মেয়াদোত্তীর্ণ পলিসির টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। ফলে গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভ বেড়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, আনারুল ইসলাম ওই কোম্পানির মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার করমদি ইউনিট ম্যানেজার হিসেবে ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। ২০১০ সালে শাখা গুটিয়ে নেয় কোম্পানি। এখন আনারুলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মোবাইলফোন বন্ধ করে রেখেছেন। আর প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করার সুযোগ নেই গ্রাহকদের। ফলে সব দায় আনারুলের ওপরে চাপিয়ে তাকে অতিষ্ঠ করে তুলেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।