দামুড়হুদায় ব্যাপক হারে আলুর আবাদ : দাম নিয়ে শঙ্কায় চাষি

দামুড়হুদা অফিস: চলতি মরসুমে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপক হারে আলুর আবাদ করেছেন আলু চাষিরা। গত বছর আলুর ভালো দাম ও অধিক ফলন পাওয়ায় এবার প্রায় দ্বিগুন আলুর আবাদ করেছেন চাষিরা। তবে আলুর দাম নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আলু চাষিরা।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত মরসুমে দামুড়হুদা উপজেলায় আলু আবাদ হয়েছিলো ২শ ৩৬ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৩শ ৬২ হেক্টর জমিতে। গত মরসুমে আলুর ভালো দাম পাওয়ায় লাভবান হয়েছেন চাষিরা। চলতি বছর আলুর দাম ভালো থাকায়; এবারও চাষিরা লাভের আশায় আলু আবাদ করেছেন প্রায় দ্বিগুন। আলু গাছ ভালো হয়েছে। আর কিছুদিন পর থেকে আলু তোলা শুরু করবে চাষিরা। এবার চাষিরা কনিকা সীড কোম্পানি ও বিএডিসির বীজ লাগিয়েছে। এছাড়া নিজেদের উৎপাদিত বীজ লাগিয়েছে অনেক চাষি।
দামুড়হদা উপজেলার বড় দুধপাতিলা গ্রামের বাবুর আলীর ছেলে আলু চাষি আলমগীর হোসেন বলেন, গত বছর বিএডিসির আলুর বিজ লাগিয়ে এক বিঘা জমিতে একশ পঞ্চাশ মণ আলু উৎপাদন করি এবং আলুর ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর তিন বিঘা জমিতে বিএডিসির বীজ রোপণ করেছি। খরচ হয়েছে বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। ভালো ফলন পাবো বলে আশা করলেও দাম নিয়ে আশঙ্কায় আছি এ বছর। তবে বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালো ফলন পাবো বলেও আশা করছি।
দামুড়হুদার লোকনাথপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আলু চাষি নুর আলম জানান, গত বছর ১৯ একর জমিতে আলু চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়ে ভালো দামে আলু বিক্রি করেছি। চলতি মরসুমে বারো একর জমিতে ডায়মন্ড ও কার্ডিনাল জাতের আলু আবাদ করেছি। বিঘা প্রতি জমিতে আলু আবাদে খরচ হয় ২০ থেকে ২০ হাজার টাকা। আশা করছি এ মরসুমেও আলুর ভালো ফলন পাবো। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আলুর ভালো ফলন পেতে আমাদেরকে সব রকম পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করছে।
দামুড়হুদার লোকনাথপুরের বেসরকারি বীজ উৎপাদনকারী সংস্থ্যা কনিকা সীড কোম্পানির (প্রা. লি.) পরিচালক নুর আলম লিটন জানান, সীড কোম্পানি থেকে টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে উৎপাদিত আলু বীজ এ বছর প্রায় ৮শ মে.টন চুয়াডাঙ্গাসহ বেশ কয়টি জেলায় সরবরাহ করা হয়েছে। চলতি মরসুমে চাষিরা আলুর ভালো ফলন পাবেন বলেও তিনি জানান।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, দামুড়হুদা উপজেলায় গত বারের থেকে চলতি মরসুমে আলুর আবাদ বেশি হয়েছে। এ মরসুমে চাষিরা কার্ডিনাল ও ডায়মন্ড জাতের আলু চাষ করেছে। আলু চাষিরা যাতে ভালো ফলন পাই; সেজন্য উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সব রকম সহায়তা ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।