কুষ্টিয়ায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার মিরপুরের মানিক সর্দ্দার (৫৫) নামের এক বিছালী ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ঐ ব্যবসায়ীর ছেলেকেও পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে প্রভাবশালীরা। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে আহত মানিক সর্দ্দার মারা যায়। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মিরপুর থানা পুলিশ নিহত মানিক সর্দ্দারের মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। মানিক সর্দ্দার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের খাদিমপুর এলাকার মৃত আফসার সর্দ্দারের ছেলে।
পিতাকে মারধরের সময় বাধা দিতে গিয়ে আহত হন মানিক সর্দ্দারের ছেলে মাসুম মাসুম (২৩)।
মাসুম সর্দ্দার জানান, আমি এবং আমার বাবা মানিক সর্দ্দার বিছালীর ব্যবসা করি। আমাদের স্যালোইঞ্জিন চালিত আলমসাধু গাড়ী করে বিছালী নিয়ে গিয়ে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করি। মাস খানেক আগে ভেড়ামারা উপজেলার ফারাকপুর এলাকার রিজেক মৃধা নামের এক দোকানীর কাছে বিছালী বিক্রি করি। এসময় তিনি বিছালীর দাম ৩৬৫ টাকা বাঁকী রাখেন। বলেন পরে এসে নিয়ে যেতে। আমি এবং আমার বাবা গত ২৯ নভেম্বর ঐ এলাকায় আবার বিছালী বিক্রি করতে যায়। এসময় আমি পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমাকে গালিগালাজ করে। আমার বাবা তখন বলেন, “ভাই টাকা দেওয়া কথা ছিলো টাকা টা দেন। আমরা গরিব মানুষ।”
এ কথা শুনে রিজেক মৃধা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, কোন টাকা তোরা পাবি না। তাই বলে হাড়–ড়ি দিয়ে আমার বাবাকে আঘাত করে। আমি ঠেকাতে গেলে আমাকেও মারধর করে। পরে তার কয়েকজন লোক এসে আমাকে এবং আমার বাবাকে মারধর করে। এর পরে স্থানীয়রা আমাদের দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করে। দুদিন পরে হাসপাতাল থেকে বাড়ীতে এসে চিকিৎসা গ্রহণ করি। এ ঘটনায় আমরা ভেড়ামারায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে মাসুমের বড় ভাই সুজন জানান, আমরা ভেড়ামারা থানায় অভিযোগ দেয়। কিন্তু ভেড়ামারা থানায় খোঁজ নিতে গেলে পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ন আহম্মেদ বলেন, “তোরা নিজেরায় তো মেরেছিস। আর অভিযোগ পত্র হারিয়ে গেছে।”
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ্র প্রধান জানান, নিহত মানিক সর্দ্দার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। তবে থানা থেকে সেটা তো হারানোর কথা না। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করতে আসলে মামলা নেয়া হবে।