চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়ির খালিদ ও রাফিউল আটক

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়ির বহুল আলোচিত বহু মামলার আসামি খালিদকে আটক করেছে র‌্যাব। একই সাথে তার সহযোগী একই এলাকার রাফিউলকেও আটক করা হয়েছে। র‌্যাব বলেছে, গতপরশু রাত আনুমানিক ১২টার দিকে দিঘড়ি ডাকাতির প্রস্তুতিকালে এদেরকে দেশি অস্ত্র-শস্ত্রসহ আটক করা হয়। এ সময় একই দলের ৪/৫ জন পালিয়ে যায়। উদ্ধার করা হয় দুটি রামদা, ১টি ছোরা, একটি চাইনিজ কুড়–ল ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়ি নতুনপাড়ার বিশারত আলীর ছেলে খালিদ ম-লের (২৫) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনসহ বিভিন্ন ধারায় ২১টি মামলা রয়েছে। রাফিউলের বিরুদ্ধেও রয়েছে দুটি মামলা। র‌্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্প জানিয়েছে, গতপরশু রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৬ এর সিপিসি-২এর একটি চৌকসদল চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দিগড়ি ইসলামপাড়া জামে মসজিদের নিকট রাস্তায় অভিযান চালায়। ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়ার সময় র‌্যাব’র গাড়ি দেখে পালিয়ে যায় ৪/৫জন। হাতে নাতে ধরা পড়ে খালিদ ও রাফিউল। এদের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় অস্ত্র-শস্ত্র। কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম এবং স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র এএসপি বজলুর রশীদ এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ র‌্যাব ব-৬ কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দিগড়ি ইসলামপুর জামে মসজিদ সংলগ্ন পাকা রাস্তার পার্শ্ববর্তী বাঁশ বাগানের ভেতর একদল অজ্ঞাতনামা সশস্ত্র ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় র‌্যাব। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পালানো চেষ্টা করলে ধাওয়া করে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় দেশীয় তৈরি ২টি রামদা, ১টি ছোরা, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি চাপাতি, ৩টি মোবাইল সেট এবং ৫টি সিম কার্ড।
আটকৃতরা হলো- চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ি নতুনপাড়ার বিশারত আলীর ছেলে খালিদ ম-ল (২৫) ও একই এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে রাফিউল ইসলাম (২২)। র‌্যাব কমান্ডার আরও জানান, খালিদ ম-ল জেলা বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। রাফিউল তার সহযোগী। আসামি খালিদ ম-লের নামে চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন থানায় বিস্ফোরক, দ্রুত বিচার আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সর্বমোট ২১টি মামলা এবং রাফিউল ইসলামের ২টি মামলা রয়েছে। আসামিদের সদর থানায় সোপর্দ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র‌্যাব কমান্ডার।