ইবিতে স্টোর রুমের দরজা আটকে পরীক্ষা গ্রহণ : শিক্ষককে অব্যাহতি

ইবি প্রতিনিধি: স্টোর রুমের দরজা আটকে একদিনে তিন কোর্সের টানা নয় ঘণ্টা পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি)। পরিদর্শক ছাড়াই আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্সের এক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা এভাবে গ্রহণ করেছেন ওই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদুর রহমান টিটু। এই অভিযোগে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।
রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন নবম ব্যাচের ৩য় সেমিস্টারের এক শিক্ষার্থীর ১ম সেমিস্টারের মানোন্নয়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বিধি লঙ্ঘন করে একদিনে টানা ৯ ঘণ্টায় তিনটি (১০৫, ১০৬, ১০৭) কোর্সের পরীক্ষা নেয়া হয়। পরীক্ষা ৩টি কোনো ক্লাস রুমে না নিয়ে আইন বিভাগের স্টোর রুমে নেয়া হয়েছে। পরীক্ষার হলে পরিদর্শক না থাকায় ওই শিক্ষার্থী মোবাইলের মাধ্যমে নকল করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাছাড়া কোর্স তিনটির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষক দ্বারা প্রণয়ন করা হয়নি। একই সঙ্গে কর্মচারীর মাধ্যমে পরীক্ষার খাতা ও প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নুরুন্নাহার ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্মন, উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারী বরাবর পৃথকভাবে লিখিত প্রতিবেদন জমা দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে উপাচার্য পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ড. সাজ্জাদুর রহমান টিটুকে পরীক্ষায় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দায়িত্বে অবহেলার দায়ে সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে কেন তার বিরূদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য একটি কমিটিও গঠিত হয়েছে। এতে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক রেবা ম-লকে আহ্বায়ক করে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক কাজী আক্তার হোসেন ও সিন্ডকেট সদস্য অধ্যাপক মাহবুবর রহমানকে সদস্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ড. সাজ্জাদুর রহমান টিটু বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, আইন বিভাগের এই ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।