মেহেরপুরে এআরবি কলেজের পিয়নের ওপর হামলা

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামে এআরবি কলেজের পিয়ন মাহাবুল হকের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে আরোজ নামে কলেজ ছাত্র। উপজেলার বর্শিবাড়িয়া গ্রামের ইউসুফের ছেলে আরোজ আলী। বৃহস্পতিবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত বুধবার সকালে এআরবি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র বিশাল একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে কয়েকবার কথা বলতে দেখে তার ভাই রকি। রকি পরে বিশালকে বলে কি বলছিস। তখন পাশে থাকা আরোজ আলী বলে দোস্ত সব তো আমাদের ভেতর কিছু মনে করিস না। এই কথা বলাতে রকি ঘুষি মারেন আরোজকে। এসময় দুজনের মধ্যে মারামারি বাধে। এ ঘটনা দেখে কলেজের পিয়ন মাহাবুল সেখানে উপস্থিত হয়। মাহাবুল দুজকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলে আরজ পড়ে যায়। তারপর আরজকে একটি চড় মারে মাহাবুল। পরে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানের কাছে বিচার দেয় সকলে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরজকে একটি থাপ্পড় মেরে সবকিছু মিটিয়ে ফেলেন।
পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে কলেজের পিয়ন আমঝুপি গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে মাহাবুল হক কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা টানানোর সময় কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো। এসময় আরোজ আলীর নেতৃত্বে ৪-৫ জনের একদল যুবক মাহাবুলের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা চেয়ারের পাইয়া দিয়ে মাহাবুরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এরপর হামলাকারীরা নির্বিঘেœ কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। পরে কলেজের শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় আরোজ আলীসহ নতুন দরবেশপুর গ্রামের মিয়ারুল ইসলামের ছেলে বিশাল, রাজনগর গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে পিয়ালসহ ৮-১০ জনকে আসামি করে মেহেরপুর সদর থানায় মামলা করে।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান জানান, বুধবারে রকি আর আরোজের মধ্যে একটি ঝামেলা হয়। পরে আমার কাছে বিচার নিয়ে এলে আমি উভয়কে নিয়ে সমঝোতা করে দিই। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ (গতকাল) আমার কলেজের পিয়নকে মারধর করেছে আরোজসহ কয়েকজন যুবক। এ বিষয়ে আমরা কলেজ থেকে আরোজের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।