চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলামকে সিজেএডি’র ফুলেল শুভেচ্ছা

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা (সিজেএডি)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএমপি সদর দফতরে তার কার্যালয়ে তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান সিজেএডি’র নেতৃবৃন্দ।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। গত ২৮ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ অধিশাখার উপসচিব স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে শফিকুল ইসলামকে ডিএমপি’র কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এর আগে তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
সিজেএডি’র নেতৃবৃন্দ বলেন, ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান। চুয়াডাঙ্গাবাসীর গর্ব তিনি। একজন সৎ ও নিষ্ঠবান মানুষ। ডিএমপি কমিশনার হিসেবে তার সফলতা কামনা করেন নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিজেএডি’র সভাপতি এনামুল হক (ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস), সহসভাপতি নাজমুল লিখন (বাংলাদেশ পোস্ট), সাধারণ সম্পাদক বকুল আহমেদ (সমকাল), যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এসকে লিটন (মাইটিভি), অর্থ সম্পাদক হারুন অর রশীদ (প্রথম আলো), সাংগঠনিক সম্পাদক জুলহাস কবীর সুজন (আরটিভি), দপ্তর সম্পাদক নুহু আব্দুল্লাহ (ইত্তেফাক), কার্যনির্বাহী সদস্য রহমান রনো (ইটিভি), বুলবুল আহমেদ (বাংলা টিভি) ও সদস্য শাহরিয়ার ফেরদৌস (বৈশাখী টিভি). সালাহ উদ্দিন আহমেদ সেতু।
শফিকুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার নওদাবন্দ বিল গ্রামে ১৯৬২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. শওকত আলী ও মাতার নাম বেগম সুফিয়া খাতুন। শিক্ষা জীবনে তিনি আলমডাঙ্গা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগ্রিকালচার বিষয়ে কৃতিত্বের সাথে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ৮ম বিসিএস এর মাধ্যমে ১৯৮৯ সালে এএসপি হিসেবে পুলিশে যোগদান করেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি এএসপি হিসেবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, খাগড়াছড়ি জেলা ও মৌলভীবাজার জেলায় সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা, পটুয়াখালী জেলা, সুনামগঞ্জ জেলা ও কুমিল্লা জেলায় অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি অতিরিক্তি পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ কমিশনার হিসাবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে তিনি ডিআইজি, চট্রগ্রাম রেঞ্জ এবং ঢাকা রেঞ্জের দায়িত্ব পালন করেন।
এই দীর্ঘ কর্মজীবনে সততা, নিষ্ঠা ও কর্ম দক্ষতার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের তথা বাংলাদেশ পুলিশের কল্যাণে উল্লেখযোগ্য অবদানের ফলস্বরূপ তিনি পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে ২০১৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে এন্টি টেররিজম ইউনিট, ঢাকায় যোগদান করেন। পরে ২০১৮ সালে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পুলিশ হেড কোয়ার্টাসে দায়িত্ব পালন করেন।