জামজামি প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার জামজামিতে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে আশাদুল নাকে এক যুবকের জোরপূর্বক বিয়ের দেয়ার সময় বাধ সাধে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ মেয়ে, মেয়ের মা ও ছেলে আশাদুলকে আটক করে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার ছাতনিপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে আশাদুল ইসলাম(১৮)। তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা প্রত্যান্ত পল্লী জামজামি এলাকায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কোরআন শরীফ শিক্ষা দিতেন। আর থাকতেন ইবি থানার ফকির পাড়া গ্রামের হামিদুল শাহ বাড়িতে। এরই মাঝে গত মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ভদুয়া গ্রামের এক স্কুল ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে হামিদুল শাহ বাড়িতেই আটক করে মারধর করে স্থানীয়রা ছেড়ে দেয়। পরে আবারও ওই দিন দুপুর ১টার দিকে জামজামি বাজারে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও স্থানীয়রা তাকে আটক করে বাইসাইকেল ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। একই সাথে তাকে জোরপূর্বক বিয়ের জন্য ভদুয়া গ্রামের ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে নিয়ে যায়। বিয়ের সকল আয়োজনও সম্পন্ন করা হয়। এলাকার কাজী মুনজিল হুজুরও এসে হাজির। এমনই অবস্থায় রাত ১১টার দিকে হঠাত হাজির স্থানীয় জামজামি ক্যাম্প পুলিশ। মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার অভিযোগ তুলে মেয়ে, মেয়ের মা ও ছেলে আশাদুলকে আটক করে ক্যাম্পে নেয়। ওই সময় কাজী মুনজিল ও মেয়ের বাবা পালিয়ে যায়। ক্যাম্পে নিয়ে মেয়ে ও মেয়ের মাকে মুচলেকা নিয়ে চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেয়। আর আশাদুলকে হস্তান্তর করা হয় আলমডাঙ্গা থানায়। গতকাল বুধবার আশাদুলকে তার বাবা জিম্মায় দেয়া হয় বলে আলামডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফখরুল জানান।