ব্লাঙ্ক চেকে টাকার অঙ্ক বসিয়ে মিথ্যা মামলার অভিযোগ

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামের আশিষ বাড়ই নামের এক যুবক ব্লাঙ্ক চেক দিয়ে ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতে গিয়ে পড়েছেন বিপদে। ওই চেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওনা দেখিয়ে কোম্পানি তার নামে মামলা দায়ের করেছে। এখন মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে অসহায় জীবন-যাপন করছে আশিষ বাড়ই ও তার পরিবার।
অভিযোগে জানা গেছে, জুগিন্দা গ্রামের মিশনপাড়ার ইয়োদ বাড়ইয়ের ছেলে আশিষ বাড়ই কয়েক বছর আগে এমুলেট ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি নেন। এরিয়া ম্যানেজার সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের ফকির মহাম্মদের জামাই আলাউদ্দীন আল আজাদ নিয়োগপত্র না দিয়ে কমিশনের ভিত্তিতে তাকে কাজে লাগিয়ে দেন। যোগদানের সময় আজাদকে একটি ব্লাঙ্ক চেক দেন আশিষ। কিছুদিন চাকরি করার পর কোম্পানির সমস্ত পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে অন্য কোম্পানিতে যোগদান করেন আশিষ বাড়ই। কিন্তু ব্লাঙ্ক চেক ফেরত চাইলেও তিনি তা পাননি। চাকরি ছাড়ার কিছুদিন পর কোম্পানির পক্ষে আশিষ বাড়ইয়ের নামে মামলা দায়ের করা হয়। ওই ব্লাঙ্ক চেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার অঙ্ক বসিয়ে তা কোম্পানির পাওনা হিসেবে দাবি করা হয়। ওই মামলায় আশিষ বাড়ই গ্রেফতার হয়ে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। বর্তমানে তিনি অন্য একটি কোম্পানিতে কর্মরত।
আশিষ বাড়ইয়ের পিতা ইয়োদ বাড়ই বলেন, দরিদ্র পরিবারের স্বচ্ছলতা আনতে ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়েছি অনেক কষ্টে। চাকরিও পেয়েছিলো। কিন্তু এরিয়া ম্যানেজার আলাউদ্দীন আল আজাদের ষড়যন্ত্রের জালে ফেঁসে গেছে। ব্লাঙ্ক চেকে লেখা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা আমার পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব নয়। এই চক্রান্তের বিষয়ে সুবিচার পেতে পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে এরিয়া ম্যানেজার আলাউদ্দীন আল আজাদ বলেন, আশিষ বাড়ই কোম্পানির টাকা পরিশোধ না করে অন্য কোম্পানিতে যোগদান করেছে। বারবার তাগাদা দেয়া হলেও তিনি টাকা পরিশোধ করেননি। তাই কোম্পানি তার নামে মামলা করেছে। এ বিষয়ে আমার কোনো হাত নেই।

Leave a comment