চুয়াডাঙ্গার মাছেরদাইড় গ্রামে শিশুর বিরুদ্ধে সাড়ে ৫ বছরের শিশুকন্যা ধর্ষণের অভিযোগ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার মাছেরদাইড় গ্রামে বকাটে শিশুর বিরুদ্ধে সাড়ে ৫ বছরের শিশু কন্যা ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার শিশুকন্যা বাড়িতে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরদিন ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে গ্রামবাসীর মধ্যে শুরু হয় গুঞ্জন। কয়েকদিনের মধ্যে গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হলে গত পরশু মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে অভিযুক্ত শিশুকে (১৪) ধরে নিয়ে এসে গ্রামের বটতলায় সালিসের আয়োজন করে। উপস্থিত গ্রামবাসীর সামনে শিশু তার দোষ স্বীকার করে। এ সময় তার পিতাসহ পরিবারের লোকজন তাকে পিটিয়ে জখম করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে বলে ধর্ষণের শিকার শিশুর পরিবার অভিযোগ করেছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুর ইউনিয়নের মাছেরদাইড় গ্রামের দিনমজুরের সাড়ে ৫ বছরের শিশুকন্যা গত শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একই গ্রামের বকাটে শিশু নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ফলে শিশুকন্যা অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসা দেয়া হয় তাকে। শিশুকন্যা ও অভিযুক্ত শিশুর পরিবার ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া চেষ্টা করতে থাকে। গ্রামবাসী গতপরশু মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযুক্ত শিশুকে গ্রামের বটতলায় ধরে নিয়ে আসা হয়। গ্রামের লোকজনের সামনে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ক্ষমা চায়। এই ঘটনায় গ্রামবাসীর সামনে ওই শিশুকে তার পরিবারের লোকজন মারধর করে বাড়িতে ফিরিয়ে নেয়। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গতকাল সরেজমিনে গেলে শিশু কন্যার পিতা-মাতা অভিযোগ করে বলেন, একই গ্রামের আমার প্রতিবেশী গত শনিবার দুপরে গ্রামের রাস্তার পাশে সদ্যনির্মাণাধীন একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরদিন ঘটনা জানতে পারি। ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে মেয়েটা কথা বলছে না কারোর সাথে।
এ ব্যাপারে মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আরিছন নেছা ও মাছেরদাইড় গ্রামের মাহাবুল, পলাশ, সুজন, আবুল কালাম, ফারুকসহ অনেকই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন। গত শনিবার শিশু কন্যাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে জানাজানি হলে গ্রামে গুঞ্জন শুরু হয়। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন খান মাথাভাঙ্গাকে জানান, এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ বা মামলা করেনি।