ঝিনাইদহে ১০ টাকা কেজি দরের চাল নিয়ে চালবাজি : পরিস্থিতি সামালে পুলিশ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: দেশের অন্যান্য স্থানের মতো খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ঝিনাইদহেও গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ। তবে ঝিনাইদহ জেলার সুরাট ইউনিয়নে চাল বিতরণের সময় ডিলার এমনকি ট্যাগ অফিসারসহ তদারককারীদের কেউই ছিলেন না। আর এমন পরিস্থিতিতে অতি দারিদ্র মানুষের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে ৩০ কেজির বদলে ২০ থেকে ২৫ কেজি বা তারও কম চাল। চাল বিতরণে এমন অনিয়ম ও আত্মসাতের ঘটনায় বিক্ষোভ দেখা দেয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে সকাল থেকে চাল নিতে আসে সুরাট ইউনিয়নের হতদরিদ্র নারী-পুরুষেরা। কিন্তু বিতরণে দায়িত্বে থাকা ডিলার আমিরুল ইসলাম মন্টু ও ট্যাগ অফিসার আলীমুল ইসলাম উপস্থিত না থেকে বহিরাগত দিয়ে চাল বিতরণ করছিলেন। এ অবস্থায় ওজনে ৩০ কেজির স্থলে কয়েক কেজি করে কম থাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয় চাল নিতে আসা মানুষের মাঝে। তারা চাল বিতরণকারীদের আটকে রেখে বিক্ষোভ করেছে। চাল নিতে আশা মিলন মোল্লা বলেন, আমাদের চাল ৩০ কেজি করে দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হচ্ছে মাত্র ২৩ কেজি করে। তাহলে আমার কাছ থেকে ৭০ টাকা বাড়তি নেয়া হয়েছে। নারী ভুক্তভোগী হাসিনা খাতুন বলেন, আমাকে চাল ২২ কেজি দেয়া হয়েছে। এ অনিয়মের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এলাকার মেম্বার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান মুকাদ্দেস জানান, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় সদরের সুরাট ইউনিয়নে আজ থেকে ৩০৯ টি পরিবারের মাঝে প্রতি মাসে ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল বিতরণের কথা। এর জন্য তাদের কাছ থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত ডিলাররা ৩০০ টাকা জমা নেয়। তবে চাল বিতরণে করা হচ্ছে নয় ছয় এমন অভিযোগ করেন তিনি। একপর্যায়ে স্থানীয় নারিকেলবাড়িয়া ক্যাম্প থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল নেয়। ঝিনাইদহ সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সভাপতি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির শাম্মী ইসলাম জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, ট্যাগ অফিসারকে শোকজ করা হয়েছে ও ডিলারের ডিলারশীপ বাতিল করার প্রক্রিয়া নেয়া হচ্ছে। ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলার ৬৭টি ইউনিয়নে ১৩৪ জন ডিলারের মাধ্যমে ১৩৭ মেট্রিকটন চাল ৪৩ হাজার ৫৮৯জন উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।