মহেশপুরে বিয়ের দাবিতে কলেজছাত্রীর ৬ দিন অবস্থান : প্রেমিক পলাতক

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জলুলী গ্রামে টানা ৬ দিন এক কলেজছাত্রী বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছেন। এদিকে বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান টের পেয়ে প্রেমিক সাজন হোসেন গাঢাকা দিয়ে আছে। এ অবস্থায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে সাজনের পিতা-মাতা। প্রেমিক সাজন জলুলী স্কুলপাড়ার অবুল কালাম আজাদ ওরফে কালুর ছেলে। অন্যদিকে প্রেমিকা ইসমত আরা একই গ্রামের বদর উদ্দিনের মেয়ে। গ্রামবাসী জানায়, দীর্ঘ দেড় বছর ধরে সাজনের সাথে ইসমত আরার প্রেম চলে আসছে। ইসমত আরার অভিযোগ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাজন তার সাথে দৌহিক সম্পর্ক করেছে। সর্বশেষ গত বুধবার যাদবপুর কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় সাজন তাকে মকরধ্বজপুর গ্রামের এক আত্মীয় বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানকার লোকজন বিষয়টি জেনে গেলে প্রতারক প্রেমিক সাজন ইসমত আরাকে ফেলে পালিয়ে আসে। ইসমত আরা জানায়, সেই রাতে আমি বাড়ি ফিরে গেলে বাড়ির লোকজন আমাকে বাড়িতে উঠতে দেয়নি। ফলে উপায় না পেয়ে ওই রাতেই আমি বিয়ের দাবিতে সাজনের বাড়িতে অবস্থান করি। সাজনের মা তাকে মেয়ের মতো যতœ করছে বলেও ইসমত আরা সংবাদ কর্মীদের জানান। গতকাল সোমবার দুপুরে সাজনদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় একটি খাটিয়ার ওপর ইসমত আরা বসে আছে। যাদবপুর ইউনিয়নের জলুলী ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্রে ছেলের বয়স ৪ মাস কম হওয়ার কারণে কাজি সাহেব বিয়ে পড়াতে রাজি হননি। তবে তাদের বিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি আরও জানান, আজ রাতেই একটা ফয়সালা হতে পারে। সাজনের পিতা অবুল কালাম আজাদ ওরফে কালু জানান, দু’পক্ষের কথা চলছে। আজ অথবা কালই সাজন এবং ইসমত আরার বিয়ে হতে পারে।