আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়নে নানা কৌশল : শিক্ষার্থীরা ভোগ করেছে সুফল

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: হুইপের নির্দেশনায় সদ্যসরকারি হওয়া আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়নে নেয়া হয়েছে নানা কৌশল। শিখন শেখানো পদ্ধতিসহ কলেজে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে গৃহীত পদক্ষেপের এখনই সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, অর্ধশতাধিক বছর পূর্বে ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এতদাঞ্চলের বৃহত্তম কলেজ আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ। কলেজটি জাতীয়করণের দাবি দীর্ঘদিনের হলেও নানা সমস্যা ও অবিমৃশ্যতায় তা সম্ভব হয়নি। হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের ঐকান্তিকতায় অবশেষে গত ২৪ জানুয়ারি ডিড অব গিফট এ স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে কলেজটি সরকারিকরণ নিশ্চিত হয়। বাস্তবতা লাভ করে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন।
আলমডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজে বর্তমানে এইচএসসিতে ১ম ও ২য় বর্ষ মিলিয়ে পায় ১৪শ শিক্ষার্থী রয়েছে। ডিগ্রিত পায় ১ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। এছাড়া কয়েক বছর ধরে ৭ বিষয়ে অর্নাস কোর্স শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা ও ইতিহাস। এ সকল বিষয়েও প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। আলমডাঙ্গা অঞ্চলে এই কলেজটি সর্ববৃহৎ ও সবচে’ পুরাতন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় শিক্ষায় কলেজটি ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে এসেছে। সম্প্রতি কয়েক বছর কলেজটির শিক্ষার মান ও পরিবেশ নিয়ে অভিভাবকমহলসহ এলাকাবাসীর মনে নানা অসšুÍষ্টি ও ক্ষোভ বিরাজমান। সম্প্রতি শিক্ষার মান ও পরিবেশ তলানি স্পর্শকারী এই কলেজটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে সরকারি হওয়ার পর থেকে। হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি’র কঠোর নির্দশনায় বিশৃঙ্খল কলেজটিতে ফিরে এসেছে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ। এসএসসি চলাকালে ক্লাসরুমের অভাবে গাছের নিচেও ক্লাস নিতে দেখা গেছে। ক্লাস বাদ দিয়ে কাউকেই আর কলেজ করিডোরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় না। এ সম্পর্কে কথা হয় কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম সরোয়ারের সাথে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কলেজমুখী ও পাঠগ্রহণমুখী করতে হুইপ মহোদয়ের নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে। হুইপের নির্দেশনা মতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নিয়োমিত প্রাক্টিক্যাল ও প্রাক্টিক্যালে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ কমিটি, অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের উপস্থিত হতে উপস্থিত তাগিদ কমিটি, থিওরি ক্লাস মনিটরিং কমিটি, এইচএসসি, ডিগ্রি ও অনার্সের শিক্ষার মানোন্নয়নে মোটিভেশনাল, অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। ক্লাস চলাকালীন সময়ে মুক্তকরিডোর নিশ্চিতকরণ কমিটি, শৃঙ্খলা কমিটি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কমিটি ও লাইব্রেরি ওয়ার্ক নিশ্চিতকরণ কমিটি। তাছাড়া কলেজ পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনয়নে ক্রয় কমিটি, অডিট কমিটিসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ। এছাড়া শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচন করে হুইপ নিজে পুরস্কার প্রদান করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।
১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সজীব হোসেন বলেন, আগে প্রায় ক্লাস হতো না, শিক্ষকরাও কলেজে ঠিকমত উপস্থিত থাকতেন না, প্রাকটিক্যাল ক্লাস হতো না বললেই চলে। কিন্তু এখন নিয়োমিত ক্লাস ও প্রাকটিক্যাল হচ্ছে। তা মনিটরিং করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের শতকরা ৭৫ ভাগ ক্লাস নিশ্চিত করতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মধ্যেই রাখা হচ্ছে।