চুয়াডাঙ্গার ভা-ারদহে যৌতুকের দাবিতে মাতাল স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ

পাঁচমাইল প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা ভা-ারদহের গৃহবধূ শাহানাজ খাতুনকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার স্বামী শহিদুল তাকে মারপিট করে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরে শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের ভা-ারদহ গ্রামের ওহাব আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম সরোজগঞ্জ জলিবিলা গ্রামের মৃত ফজের আলীর মেয়ে শাহানাজ খাতুনের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ৯ বছরের সংসার জীবনে তাদের একটি ৪ বছরের পুত্র সন্তান আছে। এ বিষয়ে শাহানাজের ভাই আক্তার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার বোন কোনো দিন তার সংসার জীবনে সুখি হয়নি। কেননা আমার বুনাই শহিদুল কোনো কাজ কর্ম করে না। নেশা ভান করে মাতাল অবস্থায় বাড়িতে এসে বিভিন্ন সময় আমার বোনকে মারধর করে। গত রোববার সকালের দিকে শহিদুল আমার বোনকে বলে আমার টাকা লাগবে তোর পিতার বাড়ি থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে আয় নয়তো হত্যা করে গুম করে দেবো। আমার বোন তার কথার প্রতিবাদ করায় তাকে অমানবিক নির্যাতন করে। এমনকি শহিদুল মাতাল অবস্থায় আমার বোনকে মেরে বেহুশ করে দেয়। শহিদুল কাজ কর্ম ঠিক মতো করে না। কাজ ঠিক মতো না করায় নেশা করার টাকা জোগাড় না করতে পারায় আমার বোনের গয়না চুরি করে বিক্রি করে জুয়া খেলে ও মদ খেয়ে উড়িয়ে দেয়। গতপরশু দুপুর বেলা আমার বোনকে নির্যাতন করে আমার বোনের একটি গরু চুরি করে বিক্রি করে দেয়। ওই গরু চুয়াডাঙ্গার এক পার্টির কাছে বিক্রি করায় পার্টি ট্রলিযোগে গরুটি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামের লোকজন পাঁচমাইল বাজারের অদূরে এক মাঠান রাস্তা থেকে আটক করে সরোজগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের টুআইসি এএসআই সাকের সঙ্গীয় ফোর্সসহ চুরি করে নিয়ে যাওয়া গরুটি উদ্ধার করে। পরে গরুটি ভা-ারদহ গ্রামের দাউদ ম-লের হেফাজতে রাখা হয়। শাহানাজের পরিবারের একটাই দাবি শাজানাজের মাতাল নেশাখোর যৌতুকলোভী স্বামীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হোক।