বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল : সুদখোরদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে এলাকার মানুষ

চুয়াডাঙ্গা খাড়াগোদায় ভুয়া সংস্থার নামে চলছে ঋণদান কার্যক্রম

স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গা সদর খাড়াগোদা বাজার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নামে বেনামে গড়ে ওঠা ভুয়া প্রতিষ্ঠান থেকে চড়াসুদে ঋণ নিয়ে দিশেহারা ভুক্তভোগী মহল ফুঁসে উঠেছে। প্রতিষ্ঠান এবং সুদ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। যতো দিন যাচ্ছে বেরিয়ে আসছে ততো তথ্য। ঋণ গ্রহীতাদের মুখ বন্ধ করতে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে প্রতিষ্ঠনের পোষা পা-ারা।
এলাকাবাসীর অভিযোগে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়নের খাড়াগোদা বাজার এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে গড়ে উঠেছে নামে বেনামে সুদ কারবারি প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে নিউ সেবা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটিড অন্যতম। যার মালিক খাড়াগোদা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে নাসির উদ্দিন ও বুদোর ছেলে আজিজ। এ প্রতিষ্ঠান শর্ত এবং কিছু বন্দক রেখে চড়াসুদে ঋণ দেন। দরিদ্রতার কষাঘাতে পড়ে এ প্রতিষ্ঠান থেকে দেড় বছর আগে সরোজগঞ্জ পূবালী শাখার একটি চেক ( হিসাব নং ২২৬৩১০১০৮৪৩৬৪ এবং চেক নং ৪৭৪৭৯১১) বন্দক রেখে খাড়াগোদা গ্রামের মনিরুদ্দিনের ছেলে বালু ব্যবসায়ী আসাদুল ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। ঋণের ৪০ হাজার টাকা শোধও করে দেন তিনি। বাকি ১০ হাজার টাকা পরিশোধের সময় সুদের ৫ হাজার টাকাসহ ১৫ হাজার টাকা ফেরত দিতে গেলে বেঁকে বসে নাসির উদ্দিন। সুদসহ দেড় লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। এতে আসাদুলের মাথায় বাজ ভেঙে পড়ার অবস্থা হয়। ৫০ হাজার টাকা নেয়া এবং ৪০ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার সময় যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের কাছে ধর্ণা দিতে থাকে আসাদুল। এরই মধ্যে সুদ ব্যবসায়ী নাসির দেড় লাখ টাকার দাবি তুলে গত ৭ ফেব্রুয়ারি উকিল নোটিশ পাঠায় আসাদুলের বিরুদ্ধে। হতদরিদ্র আসাদুল উকিল নোটিশ পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। বাকি ১০ হাজার টাকার জন্য দেড় লাখ টাকা সুদ দিতে হবে !
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, খাড়াগোদা বাজার এলাকায় এ ধরণের নামে বেনামে অনেক সুদ কারবারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি আছে। যাদের কাছ থেকে বিপদে পড়ে টাকা নিয়ে চড়া সুদে তা পরিশোধ করে থাকে। এমনও শোনা যায় আসল টাকার কয়েকগুণ সুদ দিলেও ঋণের টাকা শোধ হয় না। তাই এসব রক্তচোষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে এলাকার মানুষ। যারা দীর্ঘদিন থেকে সুদ টেনে আসছে তার একটি বিহিত না হওয়া পর্যন্ত ঋণের টাকা পরিশোধ না করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। তাই সংশ্লিষ্ট বিভাগ তদন্তপূর্বক এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠান এবং সুদখোর ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মহল।