মেয়ের বান্ধবীকে অপহরণকারী সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগে গোপালনগরের পায়রা খাতুন আটক

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: স্কুলপড়–য়া কিশোরীকে অপহরণকারী সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগে আলমডাঙ্গার গোপালনগর গ্রামের পায়রা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার পাঁচকমলাপুরের মুকুল হোসেনের মেয়ে তন্বী খাতুন ৭ম শ্রেণিতে পড়ে। পার্শ্ববর্তী গোপালনগরের আসান আলীর মেয়ে শারমিনের বান্ধবী তন্বী। শারমিনের মোবাইলফোনে তন্বীর সাথে সিলেটের রাসেল নামে এক যুবকের কথা হয়। শারমিনের সহযোগিতায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে রাসেলের সাথে যোগাযোগের জন্য শারমিন গোপনে সিমসহ তন্বীকে একটা মোবাইলফোন কিনে দেয়। সম্প্রতি তন্বীর মা মোবাইলফোনটি দেখে ফেলে তা কেড়ে নেয়। এমতাবস্থায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে প্রাইভেট পড়ার নাম করে তন্বী বাড়ি থেকে বের হয়ে শারমিনদের বাড়ি যায়। পরে আর বাড়ি ফেরেনি সে। অভিযোগ উঠেছে, শারমিনের মা পায়রা খাতুন ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে পটিয়ে প্রেমের ফাঁদ পেতে কৌশলে নারী অপহরণকারী চক্রের হাতে তুলে দিয়েছে। তন্বীকে অটোবাইকে করে পায়রা খাতুন আলমডাঙ্গার দিকে নিয়ে যেতে দেখেছে বলে দাবি করে একই গ্রামের ইদু শাহ’র ছেলে রফিক। গতকাল সকালে তন্বীর আত্মীয়-স্বজন পায়রা খাতুনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তন্বীকে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে সিলেটের রাসেল নামের এক যুবকের নিকট পৌঁছে দিয়েছে বলে স্বীকার করেন। এ ঘটনায় তন্বীর পিতা থানায় মেয়ে অপহরণের অভিযোগ জানালে গতকালই পুলিশ পায়রা খাতুনকে আটক করে।
গ্রামের অনেকেই জানান, পায়রা খাতুনের স্বামী আসান আলী সরল প্রকৃতির। সেই সুযোগে স্ত্রী পায়রা খাতুন সবসময় প্রভুত্ব ফলায় স্বামীর ওপর। পুলিশের কন্যা হওয়ায় তার মাটিতে যেন পা পড়ে না। তার চরিত্র সম্পর্কে নানা নেতিবাচক কথাবার্তা গ্রামে ডালপালা বিস্তার করেছে। পায়রা খাতুনের পক্ষে সব সম্ভব এমন মন্তব্য অনেকের মুখে। নিজের মেয়ের বান্ধবীকে নারী অপহরণকারীচক্রের হাতে তুলে দিতে তার একটুও বাধবে না বলেও দাবি করেছে অনেকে।