বিদেশি টুকরো

কুরিয়ারের বাক্সে জ্যান্ত বাঘের বাচ্চা!

ডাকে ‌যাচ্ছিলো নীল রঙের বাক্সটি। সন্ধানী কুকুরের ইঙ্গিত দেখে খুলতেই অবাক সবাই। বাক্স থেকে বের হলো আস্ত একটা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের শাবক। ঘটনা মেক্সিকোর জেলিসকো শহরের ত্লাকেপাকে শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের। ব্যাঘ্রশাবকটিকে উদ্ধার করেছে মেক্সিকোর বন দফতর। বাক্সের ভেতরে বাঘের বাচ্চার সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছে মেক্সিকো পুলিশ। সেই ছবি দেখে চক্ষু ছানাবড়া নেটিজেনদের। এমনিতে পাচারের ব্যাপারে বিশ্বজোড়া মেক্সিকোর নামডাক আছে। তাই বলে বাঘ পাচার! পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জালিসকো থেকে কোয়েরেতারো প্রদেশে ‌যাচ্ছিল বাক্সটি। বাক্সটি ত্লাকেপাক কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছতেই ডাকাডাকি শুরু করে সন্ধানী কুকুর। তখনই বাক্সটি খোলার সিদ্ধান্ত নেন নিরাপত্তারক্ষীরা। বাক্স খুলতেই দেখা ‌যায় ভেতরে বসে রয়েছে বাঘের শাবকটি। জানা গিয়েছে, দীর্ঘক্ষণ বাক্সবন্দি থাকায় ২ মাস বয়সী ছানাটির দেহে জলাভাব দেখা দিলেও তার শারীরিকভাবে সুস্থই ছিল সে। তবে কারা এটি পাঠিয়েছে তা এখনো জানতে পারেনি পুলিশ।

৮ কোটি টাকায় মানুষ আকৃতির কেক!

বিয়ের আসরে গিয়ে মোহনীয় সাজের কনেকে দেখলেন সটান দাঁড়িয়ে আছে। শরীরে বিভিন্ন জায়গায় শোভা পাচ্ছে হীরা দিয়ে তৈরি অলংকার। কনের সঙ্গে হাসিমুখে ছবি তুললেন। তারপর গপাগপ করে তাকে গলাধঃকরণ করে তৃপ্তির ঢেকুর তুললেন। ভাবছেন, কী আবোলতাবোল কথা বলছি? কিন্তু এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে দুবাইতে। দুবাইতে বিয়ের একটি ফ্যাশন শোতে বানানো হয়েছে এমনই একটি কেক যেটি দেখলে যে কারো কনে বলে বিভ্রম হবে। ৬ ফুট লম্বা এই কেক কনেকে বানাতে লেগেছে ১০ দিন, ১ হাজার ডিম ও ২০ কেজি চকোলেট। কেকটি বানিয়েছে ব্রিটিশ ফ্যাশন ডিজাইনার ডেবি উইংহাম। আরবীয় ফ্যাশনে সাজের এই কনেকে সাজাতে ৫০০ বেশি ফুল আঁকা হয়েছে কনের শাড়িতে। সব মিলিয়ে এই কেক কনের ওজন ছিল ১২০ কেজি। দাম রাখা হয় ১ মিলিয়ন ডলার। এদিকে এই কনে কেকটি দেখতে এতটাই জীবন্ত হয়েছে যে অনেকে ভাবতেই পারেনি যে, এটা খাওয়া যাবে। এর আগে এই ব্রিটিশ ডিজাইনার ডেবি কালো ও লাল ডায়মন্ড দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দামি পোশাক বানিয়েছিলেন। এটির মূল্য ছিলো ১১.৫ মিলিয়ন ডলার। গত বছর তিনি বিশ্বের সবচেয়ে দামি জুতা বানান যার দাম ছিলো ১০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড।

সিরীয় বাহিনীর গোলায় ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত

সিরীয় বাহিনীর বিমান বিধ্বংসী গোলায় ইসরাইলের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে। এরআগে অধিকৃত গোলান হাইটসে একটি ইরানি ড্রোন আটকে দেয়ার দাবি করেছে ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটি। বিবিসি জানিয়েছে, বিমানের দুই পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, সিরিয়া থেকে পাঠানো ইরানের একটি ড্রোন ইসরায়েলের আকাশ সীমায় প্রবেশ করলে সেটিকে আটকে দেয়া হয়েছে। এরপর সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা শুরু করে ইসরাইল। সিরিয়ার পাল্টা বিমান বিধ্বংসী গোলায় ভূপাতিত হয় ইসরাইলি যুদ্ধবিমানটি। ওই সময় ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে রেড এলার্ট সাইরেন বাজতে শুরু করে। স্থানীয়রা জানান, তারা ওই সময় জর্ডান ও সিরিয়া সীমান্তে বড় বড় বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন।

চশমায় দেখা যাচ্ছে অপরাধীর মুখ!

চীনের হেনান প্রদেশের রাজধানী ঝেংঝোও-এর রেলস্টেশনগুলোতে সন্দেহভাজনদের ধরতে ফেসিয়াল রিকগনিশন সানগ্লাস ব্যবহার করছে চীনা পুলিশ। বছরের শুরুতে মূল গুগল গ্লাস-এর মতো দেখতে এই স্মার্ট গ্লাস প্রকাশ্যে আসে। ইতিমধ্যে সাতজন অভিযুক্ত আসামিকে ধরতে এই গ্লাস সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছে চীনের পুলিশ-প্রশাসন। এই গ্লাসগুলো একটি ডাটাবেসের সঙ্গে যুক্ত। এর মাধ্যমে ভ্রমণকারীদের মধ্য থেকে সন্দেহভাজন অপরাধীদের চেহারা মেলানো হয়। এই গ্লাসের নির্মাণ সংস্থা জানিয়েছে, বাস্তবে কাউকে দেখার পর চেহারা মেলাতে এটি কত সময় নেয় তা এখনও স্পষ্ট নয়। পরীক্ষাকালে দেখা যায়, এই ব্যবস্থাটি প্রতি সেকেন্ডে এক লাখ ছবির ডাটাবেস থেকে চেহারা মিলিয়ে শনাক্ত করতে পারে। এখনও পর্যন্ত এই গ্লাস ব্যবহার করে শনাক্ত করা সন্দেহভাজন আসামিদের মধ্যে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন থেকে শুরু করে অন্যান্যরাও রয়েছে।

 

ভারতের রাজস্থানে মাটির নিচে মিলল ১১ কোটি টন স্বর্ণ!

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের রাজস্থানে প্রচুর স্বর্ণের খোঁজ পেয়েছে ভারতীয় ভূতাত্ত্বিক বিভাগের বিজ্ঞানীরা। অনুমান রাজস্থানের বাঁসবাড়া ও উদয়পুর জেলায় মোট ১১ দশমিক ৪৮ কোটি টন স্বর্ণ মজুত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন ভারতীয় ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহানির্দেশক এন কুটুম্বা রাও। তিনি জানিয়েছেন, উদয়পুর ও বাঁসবাড়া জেলার ভুকিয়া ডোগরায় এই স্বর্ণের ভাণ্ডারের সন্ধান মিলেছে। এ মহাপরিচালকের কথায়, ইতোমধ্যে রাজস্থানে ৩৫.৬৫ কোটি টন সিসার সন্ধান মিলেছে। এছাড়া ২০১০ সাল থেকে এখনো প‌র্যন্ত ৮.১১ কোটি টন তামার সন্ধান মিলেছে রাজস্থানে। এছাড়া রাজস্থানের সিরোহি জেলায় আরও খনিজের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পটাশ ও গ্লুকোনেটের মতো খনিজের জন্য সওয়াই মাধোপুরে খননকাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কুটুম্বা রাও।