আবাদি জমি বাঁচাতে ভূমি দস্যূদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ

দামুড়হুদার পুরো উপজেলা জুড়েই চলছে ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার পুরো উপজেলা জুড়েই চলছে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কাটার মহোৎসব। এলাকার এক শ্রেণির ভূমি দস্যুরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় ড্রেজিং মেশিন ভিড়িয়ে প্রকাশ্যে কেটে নিচ্ছে ফসলি জমির উপরিভাগ। ফলে একদিকে যেমন কমে যাচ্ছে আবাদি জমির পরিমাণ, অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়ছে পার্শবর্তী বেশকিছু আবাদি জমি। দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের চিৎলা গুচ্ছগ্রামের আশাপাশ জুড়েই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ট্রাক্টরে করে বহন করা হচ্ছে ওই সমস্ত ফসলি জমি থেকে কেটে নেয়া বালু-মাটি। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, চিৎলা গুচ্ছগ্রাম পেরিয়ে নুরুল হক পেশকারের পুকুরের বাঁ দিকে বিলমাঠে ফসলি জমির মাটি কেটে গর্তের সৃষ্টি করা হয়েছে। চিৎলা গ্রামের গিয়াস ও মুলাম ওই জমির মাটি কাটাচ্ছেন। ফলে পার্শবর্তী জমির মালিকরা পড়েছেন মহাবিপাকে। আগামী বর্ষায় পার্শবর্তী বেশকিছু আবাদি জমি ভেঙে আসবে ওই গর্তে। ভূমি দস্যুরা প্রভাবশালী হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। এলাকার সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কিভাবে ফসলি জমির মাটি কাটতে পারে? না কি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা আবাদি জমি কেটে বিনষ্ট করছে। যদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেয়া হয় তাহলে অচিরেই মাঠের বেশকিছু জমি ওই গর্তে বিলিন হয়ে যাবে। এছাড়া মাটি বহনের সময় বেপরোয়া গতিতে ট্রাক্টর আসা-যাওয়া করায় প্রায়শই ঘটছে ছোট খাটো দুর্ঘটনা। রাস্তার দু’পাশের বাড়ির রান্নাঘর থেকে শুরু করে বসতঘরে বালু কিচকিচ করছে। ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ার আশঙ্কায় অধিকাংশ কোমলমতি শিশুরা স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে। ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধ করার পাশাপাশি এলাকার ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে প্রায়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার ভুক্তভোগী চাষিসমাজ।

Leave a comment