শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী মানুষদের অধিকার মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে

চুয়াডাঙ্গায় বাংলা ইশারা ভাষা দিবসের আলোচনাসভায় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ

স্টাফ রিপোর্টার: ‘ইশারা ভাষা উন্নয়নে, এগিয়ে যাবো প্রতিজনে’ এ স্লোগানে চুয়াডাঙ্গায় বাংলা ইশারা ভাষা দিবস-২০১৮ উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বুধবার বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহর প্রদিক্ষণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে এরপর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক এসএম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম, সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) আহসান হাবিব ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান উপস্থিত ছিলেন। সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল সামীর উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশার নির্বাহী পরিচালক বিল্লাল হোসেন। অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন ও সাংবাদিক সমিতির সভাপতি অ্যাড. রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, দেশে শ্রবণ প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ । শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী মানুষের স্বতন্ত্র এবং বৈচিত্রপূর্ণ জীবন অভিজ্ঞতায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাংলা ভাষা ইশারা ভাষা। প্রতিবন্ধিতার জন্য এ ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় তাদের যোগাযোগের কোনো সুযোগ নেই। এছাড়াও অটিস্টিক, নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে ইশারা ব্যবহারের মাধ্যমে যোগাযোগ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এজন্য ইশারা ভাষা ইনস্টিটিউট, ডাটাবেজ ও শিক্ষক দরকার। ভাষার প্রতিবন্ধকতা দূর করে শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী মানুষদের অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমেই সম্ভব সমাজ বিনির্মাণ। শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী মানুষদের অধিকার মর্যাদা নিশ্চিত করতে বাংলা ইশারা ভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।