চুুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে বিভিন্ন সবজির দাম: ক্রেতাদের মাঝে হতাশা

বাজার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ব্যবসায়ীরা দ্বিগুণ হারে বিক্রি করার অভিযোগ
বদরগঞ্জ প্রতিনিধি: চুুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাটবাজারগুলোতে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি আসলেও দামে দ্বিগুণ হারে বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা হতাশ হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত হাটবাজারে কাঁচা শাকসবজির দাম বাড়ার ফলে ক্রেতাদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। চুুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জ, সরোজগঞ্জ, ডিঙ্গেদহ বাজার, হিজলগাড়ী হাটবাজারগুলো বিভিন্ন সবজির সহজলভ্য স্থান হিসেবে পরিচিত। এসব বাজারে সবুজ শাকসবজি আসলেও দামে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতাদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন হাটবাজারগুলো সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আগাম শাক সবজির দাম যেন একেবারে আকাশ ছোঁয়া। চুুয়াডাঙ্গা জেলার কাঁচাবাজার ও হাটগুলোতে সবজির দর বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকেই প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে বেশি দরেই হাটবাজার থেকে সবজি ক্রয় করছে।
হাটবাজারের যে কাঁচা সবজিগুলোর দাম বেড়েছে, ৩০ টাকার সিম ৪৫ টাকা কেজি, ৭০ টাকার মেটে আলু ৮০ টাকা কেজি, ২৫ টাকার মানকচু ৪০ টাকা কেজি, ৩৫ টাকার ফুলকপি ৪০ টাকা কেজি, ১২ টাকার বরবটি ৩০ টাকা কেজি, ৩৫ টাকার টমেটো ৪০ টাকা কেজি, ১০ টাকার পাতা কপি ১৫ টাকা কেজি, ৮০ টাকার কাঁচামরিচ ১০০ টাকা কেজি, ৪০ টাকার পুইশাকের মেছড়ি ৬০ টাকা কেজি, ১৫ টাকার আলু ৩০ টাকা কেজি, ২০ টাকার বেগুন ৫০ টাকা কেজি, ১৬ টাকার মিষ্টি কুমড়ো ৬০ টাকা কেজি। দাম হ্রাস পেয়েছে, করলা ৬০ টাকা, পিয়াজ ৬০ টাকা, রসুন ৫০ টাকা, আদা ১০০ টাকা, মুলা ৬ টাকা কেজি, পালং শাক ৪ টাকা আটি। বদরগঞ্জ হাটে লাউ কদু প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। চুুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জে কাঁচাহাট বাজার করতে আসা ক্রেতা কুতুবপুরের আনিস মোল্লার সাথে কথা হয়। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, বাজারে এতো সবজি, তারপরেও দ্বিগুণ দাম। বাধ্য হয়েই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে কাঁচাবাজারের এ সবজি। অপরদিকে সরোজগঞ্জ এলাকার ভ্যানচালক আলী হোসেন বলেন, সারাদিন ভ্যান চালিয়ে যা রোজগার হচ্ছে তার বেশির ভাগই চলে যাচ্ছে এ কাঁচাবাজারে। গতকাল বুধবার বদরগঞ্জে হাটে কাঁচা সবজি বিক্রেতা শিপন ও আশরাফুলসহ কয়েকজন সবজি ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, বেশি দামে কিনতে হচ্ছে চাষিদের কাছ থেকে। তাই বেশি দাম দিয়ে কিনে লাভ তো করতে হবে। হাটে বসার জায়গা ভাড়া ও দূর থেকে কাচামাল বহন করে আনার খরচ আছে। সব মিলিয়ে আমরা ক্রেতারদের কাছ থেকে কেজি প্রতি দুয়েক টাকা লাভ করে থাকি। অন্যদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ব্যবসায়ীরা দ্বিগুণ হারে বিভিন্ন সবজিতে লাভ করছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ উঠেছে।

Leave a comment