কার্পাসডাঙ্গায় ইটভাটাগুলো ফসলি জমির মাটি সাবার করে চলেছে

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নেই শুধু ৮টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এতে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে কৃষি, প্রকৃতি ও ফসলি জমি। ওই ৮টি ইটভাটা ফসলি জমি ও জনবসতির ওপর গড়ে উঠেছে। এ ইটভাটাগুলো টপসয়েল সাবার করে চলেছে। প্রভাবশালী মহলের অনৈতিক সম্পর্কের সূত্র ধরেই এসব ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। ইটভাটাগুলো সদর রাস্তার পাশে, ফসলি জমি এবং বসতি এলাকায় গড়ে উঠেছে। ভাটা মালিকরা প্রতিযোগিতামূলক কৃষি জমির টপসয়েল ইটভাটায় নিচ্ছে। আর এ কৃষি জমির মাটি সংগ্রহের জন্য দালাল নিয়োগ রয়েছে। ওই দালালরাই সহজ-সরল কৃষকদের কৌশলে ফাঁদে ফেলে টপসয়েল গ্রাস করে চলেছে। এতে আবাদী জমি এখন প্রচুর পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ওই এলাকায় কৃষি উপযোগী জমি থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন মহল। ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। ইতোমধ্যেই এর প্রভাব পড়েছে কৃষি ফসল, সবজি, গাছের ফলমূলেও। এমনকি গবাদি পশুসহ মানুষের উপরও। অনেক গাছের ফলন কমেছে। ফল ধরা বন্ধ হয়েছে। বিশেষ করে নারিকেল-সুপারি-কলাই ফসলে অজানা রোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে। এসব ইটভাটা পরিচালনার জন্য পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইটভাটার আওতায় আরামডাঙ্গা ও কানাইডাঙ্গা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রহিমসহ আরও অনেকে জানান, আমার বাড়ি থেকে ইটভাটা খুব কাছাকাছি। বাড়ি ও ক্ষেতের জায়গা পড়ছে মাঝখানে। আগের চেয়ে ধান উৎপাদন কমে গেছে। অনেক নারিকেল গাছেই ফল ধরছে না। দুয়েকটি গাছে যা ধরছে, তাতে পানি নেই। ভাটার কালো ধোঁয়ায় আমরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।