আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ সরকারিকরণে আর বাধা নেই

হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গিভ অব ডিড সম্পন্ন

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গিভ অব ডিড সম্পন্ন হওয়ায় আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ সরকারিকরণের পথে আর কোনো বাধা রইলো না। বেসরকারি কলেজ সরকারিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জরুরিভিত্তিতে আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের অনুকূলে রেজিস্ট্রিকৃত দানপত্র করে দেয়ার সম্প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি কলেজ-৬ শাখা হতে এ বিষয়ে পত্র পাঠানো হয়। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রেজিস্ট্রিকৃত দানপত্রের দলিল সম্পন্ন করা হয়েছে। আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার কলেজ পরিচালনা পরিষদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে কলেজের পক্ষে দাতা হিসেবে গতকাল বুধবার রেজিস্ট্রিকৃত দানপত্রের দলিল সম্পন্ন করেন। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম ছরোয়ার বলেন, দুপুর পৌনে ২টায় হুইপ ওই দানপত্র দলিলে স্বাক্ষর করেন। সে মাহেন্দ্রক্ষণে কলহাস্যে মুখরিত হয়ে ওঠে কলেজ প্রাঙ্গণ। শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের আনন্দ কলতানে আর হাততালিতে খুশির বন্যা বয়ে যায়। বহু নেতার বহু প্রতিশ্রুতি সহ্য করে সেই ১৯৬৫ সাল থেকে এ কলেজটি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আটটি বিষয়ে স্নাতকসহ (সম্মান) প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীর প্রিয় কলেজের নামফলকের ললাটলিখন থেকে শেষাবধি কুৎসিত বেসরকারি শব্দটি দীর্ঘ ৫২ বছর পর মুছে দিলেন হুইপ। এ মহৎ কাজে তাকে সহযোগিতা করেছেন অন্যতম দুই জিবি সদস্য আওরঙ্গজেব মোল্লা টিপু ও শাহ আলম।
আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ সরকারিকরণের পথে শেষ বাধা দূর করার মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীসহ আলমডাঙ্গাবাসীর আরেকটি প্রাণের দাবি পূরণ হলো। এ ব্যাপারে অনন্য ভূমিকা পালন করায় হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের প্রতি এলাকার অনেকেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।