বহিরাগতসহ দু’শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

ইবি প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে (ইবি) মাদকসেবন ও ছাত্রী উত্যক্তের দায়ে আটক বহিরাগত মোহাইমিনুল ইসলাম লামনসহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দু’কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন শেখ মামলার বিষয়টি নিশ্চত করেছেন। গত গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেক সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রক্টর মদ্যপ অবস্থায় তাদেরকে আটক করে পুলিশে দেয়।
মামলার আসামীরা হলেন বিশ^বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ইমতিয়াজ এবং ইংরেজি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ইউসুফ ও বহিরাগত মোহাইমিনুল ইসলাম লামন।
এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই শিক্ষার্থীসহ আকটকৃত মোহাইমিনুল ইসলাম লামনের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। আটক মোহাইমিনুল ইসলাম লামনকে কোর্টে চালান করা হয়েছে।’
বিশ^বিদ্যালয়সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকেলে বিশ^বিদ্যালয়ের মফিজ লেক এলাকায় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফতের অনুসারী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইউসুফ ও বহিরাগত মোহাইমিনুল ইসলাম লামন মাদক সেবন করছিলো। এ সময় শেখ হাসিনা হলের তিন ছাত্রী লেকে ঘুরতে গেলে তাদেরকে উত্যক্ত করে ওই মাদকসেবীরা। তারা মদ্যপ অবস্থায় ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে অশ্লীল কথা ও গালিগালাজ করতে থাকে। পরে ওই ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানকে জানালে তিনি তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে পুলিশ তাদেরকে গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি থামিয়ে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে ছিনিয়ে নেয় বহিষ্কৃত নেতা ফয়সাল সিদ্দিকি আরাফাত ও তার সহযোগীরা। পুলিশ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বাগবিত-া হয়। পরে পুলিশের এক কর্মকর্তা শুধুমাত্র বহিরাগত লামনকে নিয়ে থানায় চলে যায়।
এদিকে মাদকসেবী দুই ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করলেও বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।