মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি লুফে নিলো উন্নয়ন মেলার প্রথম পুরস্কার

মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি কর্তৃক মেলার দু’দিনে প্রায় ৩শ’সংযোগ প্রদান
মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি সেবার মান বাড়াতে মেলা চলাকালে দু’দিনে সংযোগ দিয়েছে প্রায় ৩শ’। গত ১১ জানুয়ারি হতে ১৩ জানুয়ারি ৩ দিনের উন্নয়ন মেলায় চমক দেখাতে পল্লী বিদ্যুত এ উদ্যোগ গ্রহণ করে। গ্রাহকের আবেদনের ভিত্তিতে মেলার শেষ দিন গতকাল শনিবার এ সেবা প্রদান করেন। ১৯৮৭ সালে কার্যক্রম শুরুর প্রারম্ভিক সময় হতে জেলার কৃষি, শিল্প ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে। আধুনিক সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের ব্যাপক প্রসার এবং শিক্ষা-স্বাস্থ্য ও তথ্য প্রযুক্তি বিকাশের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে দেশব্যাপী পরিচালিত পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের একটি অংশরূপে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। ‘লাভ নয় লোকসান নয়’ এ নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত একটি জাতীয় কর্মসূচিকে সফল করার দৃঢ় প্রত্যয়ে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ৭টি উপজেলায় বিদ্যুত বিতরণে নিয়োজিত মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সম্মানিত গ্রাহকগণই সমিতির মালিক ও সেবক। বাংলাদেশের পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে এবং তারই ধারাবাহিকতা এখনও অব্যাহত রয়েছে। মেহেরপুর শহীদ ড. শামশুজ্জোহা নগর উদ্যানে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রথম পুরস্কার পায় মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন। তার হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার রেজাউল করিম।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার রেজাউল করিম জানান, ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ-ঘরে ঘরে বিদ্যুত’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে আমরা ইতোমধ্যে বিদ্যুতহীন একালায় বিদ্যুত সংযোগে নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আশা করি সবার সহযোগিতায় গ্রামীণ জীবন ও অবকাঠামো উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবো। সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ, বিতরণ লাইন রক্ষণাবেক্ষণ, গ্রাহক অভিযোগ তড়িৎ নিরসন, সময়মত বিদ্যুত বিল বিতরণসহ উন্নত গ্রাহক সেবা প্রদানই আমাদের মূল লক্ষ্য। এছাড়াও গ্রাহকদের সিস্টেম সম্পর্কে যথাযথ ধারণা দেয়া, তাদের অভিযোগ, মনের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনার চেষ্টা করি। অচিরেই দালালমুক্ত পরিবেশে জনগণ সেবা পাবে। দালালচক্র যাতে সক্রিয় হতে না পারে সেজন্য প্রতিটি সেবা দ্বারে সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, অবৈধ কার্যকলাপের সহিত যারা জড়িত এবং দালালচক্র সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, জনবল সঙ্কটের কারণে গ্রাহক সেবা দ্রুত দেয়া সম্ভব হচ্ছে না, এর কারণ মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা মিলে প্রধান অফিসসহ ৩টি জোনাল অফিস, একটি সাব-জোনাল অফিস। ডিজিএম ৪জন, এজিএম ৭জন প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। বিশেষ করে লাইনম্যান সঙ্কট বেশি তার পরেও প্রতিমাসে বিদ্যুত সংযোগ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করছে। ইতোমধ্যে ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে অনেক পরিবারকে বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হয়েছে। এটাও মাঝে মধ্যে অব্যাহত থাকবে। তাতে গ্রাহক হয়রানি ও দুর্ভোগ কমবে বলে তিনি মনে করেন। বর্তমানে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির গ্রাহক সংখ্যা ৩ লক্ষ ৭৭ হাজার এ গতি অব্যাহত থাকলে ২০১৮ সালের মধ্যে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি প্রতিটি পরিবারের মধ্যে বিদ্যুত সংযোগ দিতে সক্ষম হবে বলে জানান তিনি।