দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড

চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত
মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: দেশের ইতিহাসে এ যাবৎকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে সেখানে গতকাল সোমবার সকালে তাপমাত্রা ছিলো মাত্র ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাংলাদেশে এর আগে এতো কম তাপমাত্রার কোনো রেকর্ড নেই। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর থেকে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানান, শৈত্যপ্রবাহ এখনও পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে দু একদিনের মধ্যে কমতে শুরু করবে। সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ে ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও সৈয়দপুরে ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ডিমলায় ৩ ডিগ্রি, রাজারহাটে ৩ দশমিক ১ ডিগ্রি, দিনাজপুরে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি, বাদলগাছিতে ৪ ডিগ্রি, ঈশ্বরদী ও বগুড়ায় ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি, চুয়াডাঙ্গায় ৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি, যশোরে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি, শ্রীমঙ্গলে ৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি, কুমারখালীতে ৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি, বরিশালে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি, শীতাকু-ু ও গোপালগঞ্জে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি, ময়মনসিংহ ও তারাসে ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি, নেত্রকোনায় ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি, টাঈগাইলে ৬ ডিগ্রি, ফরিদপুরে ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো টেকনাফে ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদিনের তীব্র শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের প্রায় সব জায়গাতেই চরম দুর্ভোগ পোয়াচ্ছে মানুষজন।
চুয়াডাঙ্গায় হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সোমবার সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন্টায় ৭ কিলোমিটার গতিবেগে বাতাস বইছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ১৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনে কিছু সময়ের জন্য সূর্য দেখা মিললেও রোদের উত্তাপ ছড়াতে পারেনি। ফলে উষ্ণতা ছড়ায়নি, শীতে যবুথবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের জীবনযাত্রা। সন্ধ্যা নামতে না নামতেই ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা পড়েছে এ জেলা। সেই সাথে তীব্র হচ্ছে শীতের প্রকোপ। দুর্ভোগ-দুর্দশা বাড়ছে এ জেলার ছিন্নমূল মানুষের। কষ্টে পড়েছে বৃদ্ধ, শিশু, হতদরিদ্র মানুষ ও দিনমজুর। শীতজনিত রোগে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। কনকনে শীতে সন্ধ্যায় বাজার-ঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে। ছিন্নমূল মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে কোনোরকমে শীত নিবারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাজারের পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্র কেনার জন্য নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঘন কুয়াশায় প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহন দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। গত এক সপ্তাহের তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে রবি ফসলসহ বোরো ধানের চারা, আমের মুকুল, মশুরি, আলু এবং সরিষা ক্ষেতের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। ধানের বীজতলায় নানা রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান, শীত বাড়ছে। সোমবার সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৬ শতাংশ। আর গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ৭ কিলোমিটার। তিনি আরও জানান, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামি দুই থেকে তিনদিন চুয়াডাঙ্গায় শীতের তীব্রতা থাকবে। পাশাপাশি ঘন কুয়াশা ও শীতল বাতাস বয়ে যাবে। এদিকে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীত বস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সমাজ সেবা অফিস চত্ব¡রে ৪০৯ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ৭১ জন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে মোট ৪৮০ জন মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে কম্বল বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান। সে সময় উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবা অফিসার আবু তালেব, মৎস অফিসার এজেডএম তৌহিদুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জেডএম দিদার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নুর মোহাম্মদ জকু, অফিস সহকারী মনিরুজ্জামান, আজিজুল হকসহ মুক্তিযোদ্ধা ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনা পৌর এলাকার হতদরিদ্র শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। দর্শনা পৌরসভা ও পৌর প্রবীণ কমিটির যৌথ উদ্দোগে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে দর্শনা পুরাতন বাজার সোসাইটি চত্বরে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, হাজি আকমত আলী, জাহিদুল ইসলাম, দর্শনা পৌর প্যানেল মেয়র রবিউল হক সুমন, রেজাউল ইসলাম, জাহানারা খাতুন, পৌর কাউন্সিলর হাসান খালেককুজ্জামান, সাহিকুর রহমান অপু, মনির সরদার, নজরুল ইসলাম, কানচু মাতবর, চান্দু মাস্টার, মঈনুদ্দিন মন্টু, আম্বিয়া খাতুন ফট্টরি, সুরাতন নেছা, পৌর কর্মকর্তা রুহুল আমীন, শাহ আলম, রুমি আলম পলাশ, ওয়েভ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান যুদ্ধ, সাজ্জাদ হোসেন, আওয়ামী লীগনেতা আব্দুস সাত্তার, আব্দুর জব্বার, সরোয়ার হোসেন প্রমুখ।
কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের ব্যবস্থাপনায় মতবিনিময়সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমাম হাসান মৃধা। ঠাকুরপুর বিজিবির আয়োজনে গতকাল সোমবার বিকেল ৪ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের চাকুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করা হয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুড়ুলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা শাহ মো. ইনামুল করিম ইন, মুন্সিপুর সীমান্ত বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সবেদার দুলাল হোসেন, ঠাকুরপুর ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল ছালাম, কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির এসআই আসাদুর রহমান, এএসআই আবুল কাশেম, ইউপি সদস্য আব্দুল হাকিম, আলী গায়েন, ঠাকুরপুর মসজিদের ইমাম আশরাফুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মুন্সিপুর সীমান্ত বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার দুলাল হোসেন। মতবিনিময়সভা শেষে ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে অসহায় দুস্থদের মাঝে লে. কর্নেল ইমাম হাসান শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে আগুন পোয়াতে গিয়ে অসতর্কতাবশত ঝলসে গেছেন দিনমজুর মতিয়ার রহমান (৪০)। তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বকুন্দিয়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের বকুন্দিয়া গ্রামের কলিমুদ্দিনের ছেলে দিনমজুর মতিয়ার রহমান শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে সন্ধ্যার সময় বাড়ির উঠানে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছিলেন। এ সময় অসাবধনতাবশত তার পরনের লুঙ্গিতে আগুন ধরে যায়। আগুনে তার শরীরের অধিকাংশ পুড়ে ঝলসে গেছে। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে একটানা হাড়কাঁপনো তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জীবননগর উপজেলাবাসী। হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠা-ার কারণে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষদের মানবেতর দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। বিশেষ করে প্রচ- ঠা-ার কারণে কাজ করতে না পারার কারণে দিনমজুরেরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায়ের মধ্যে রয়েছে। গতকাল সোমবার ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তীব্র ঠা-া থেকে রক্ষা করতে জীবননগর পৌরসভার উদ্যোগে গতকাল শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। গত ৬ দিনের শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতজনিত রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। হাঁচি-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বিপুল সংখ্যক শিশু ও বৃদ্ধ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে হাসপাতালসূত্রে জানা গেছে। কনকনে শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে দরিদ্র মানুষেরা নিক্সন মার্কেটে ভিড় জমাচ্ছে। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচাতে পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন। পৌরসচিব জায়েদ হোসেন, পৌর কাউন্সিলর সাইদুর রহমান, আফতাব উদ্দিন, খন্দকার আলী আজম, মাহফুজা খাতুন বিউটি ও আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল সোমবার রাত ৮ টার সময় দুস্থ শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা উপজেলার দেহাটি ও উথলী গ্রামের ৫০ দুস্থ শীতার্তের মধ্যে এ কম্বল বিতরণ করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. সামনুর রহমান এবং উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. মোতাহার হোসেন।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে সদর উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গণে শীতার্তদের মাঝে এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলে দুস্থ অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল ৪টায় মেহেরপুর সদর উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসক পতœী স্মৃতিরাণী সিংহা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) সামিউল হকের সভাপতিত্বে এসময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পত্নী নাদিরা আহামেদ, সহকারি কমিশনার (ভূমি) পত্নী নুসরাত জাহান জুঁই প্রমুখ। অনুষ্ঠান এলাকার একশ’ শতীর্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। একই দিন সকালে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বশির আহমেদ কম্বল বিতরণ করেন।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, পৌষের এই কনকনে শীতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের পক্ষ থেকে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে দুস্থ অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন অধ্যক্ষ কর্নেল সাদিকুল বারী পিএসসি। এসময় তার সহধর্মিনী ডা. রেহনুমা আক্তার তমা, অ্যাডজুটেন্ট লে. কমান্ডার আসাদুজ্জামান নুর, মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন আলী জাসিফ রেজওয়ান, কলেজের উপাধ্যক্ষ রতন কুমার সরকার ও সহকারী অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। পরে শহরের বিভিন্ন এলাকার ৩শ’ শীতার্তের হাতে কম্বল তুলে দেয়া হয়।