কনকনে পশ্চিমা ঠাণ্ডা হাওয়ায় তাপমাত্রা নামছে : শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে আরও তিনদিন

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস : চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের বিভিন্নস্থনে শীতবস্ত্র বিতরণ
মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: সারাদেশের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত কয়েকদিন থেকে ক্রমেই নেমে আসছে তাপমাত্রা। বাড়ছে শীতের তীব্রতা। তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে মানুষ। তীব্র শীতে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে সন্ধ্যা হলেই শহর ও গ্রামাঞ্চলের রাস্তঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
আবহাওয়া অফিস জানায়, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া যশোর, রাজশাহী, পাবনা ও দিনাজপুর অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর শ্রীমঙ্গল ও সীতাকুণ্ড অঞ্চলসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় সর্বচ্চো তাপমাত্র ছিলো ২০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বচ্চো তাপমাত্র ছিলো টেকনাফে ২৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিসের কর্তব্যরত পূর্বাভাস কর্মকর্তা জানান, জানুয়ারি শীতলতম মাস। এ সময় শৈত্যপ্রবাহ স্বাভাবিক। চলতি শৈত্যপ্রবাহ আগামী বুধবার অব্যাহত থাকতে পারে। জোরাল পশ্চিমী ঝঞ্ঝর কারণে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস হু হু করে ধেয়ে আসায় তাপমাত্রা নেমে যাচ্ছে। ঘন কুয়াশায় যানবাহন ও নৌ ও বিমান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে খেতের ফসল। কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ। শীতার্ত মানুষ ভিড় করছেন গরম কাপড়ের দোকানে। অনেক জায়গায় স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে।