জেলা বিএমএ’র সভা অনুষ্ঠিত ॥ ৪ জনকে আসামি করে মামলা
মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমানকে শারিরিক লাঞ্ছিত এবং খাবার সরবরাহ ও কাপড় ধোলাইয়ের দরপত্রের কাগজপত্র তছরুপ করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ২দিন পর গতকাল শনিবার বিকেলে তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার বিএমএ মেহেরপুর জেলা শাখার এক জরুরি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান জানান, কতিপয় বহিরাগত তার কার্যালয়ে ঢুকে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। বিষয়টি তিনি মেহেরপুর জেলা বিএমএ’র সভায় বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেন। তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেন বিএমএ’র সদস্যবৃন্দ।
গতকাল শনিবার সকালে বিএমএ’র পরবর্তী বর্ধিতসভা ডাকা হয়। বর্ধিতসভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওই ঘটনার সংশ্লিষ্ট দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া ওই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় বিএমএ খুলনা বিভাগকে অবহিত করা হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মেহেরপুর বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম, জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শরফরাজ হোসেন মৃদুল, আওয়ামী লীগ কর্মী দেবাশীষ কুমার বাগচী ও ইলিয়াস হোসেনকে আসামি করে একটি এজাহার দাখিল করেন। স্বা.চি.প, বিএমএ এবং স্বা.না.প ওই সিদ্ধান্তসমূহের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করেন।
গতরাতে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে আমিনুল ইসলাম, শরফরাজ হোসেন মৃদুল, দেবাশীষ কুমার বাগচী ও ইলিয়াস হোসেনকে আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করেন।