চোরাইকৃত গম কেনার অভিযোগে আলমডাঙ্গার জহুরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: শিল্প শহর নওয়াপাড়ার শেখ ব্রাদার্সের ঘাট থেকে উধাও হয়ে যাওয়া গম ক্রয়ের অভিযোগে আমডাঙ্গার হাজিমোড়স্থ মেসার্স সাগর ট্রেডার্সের মালিক জহুরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টায় যশোর অভয়নগর থানা পুলিশ জহুরুলের গোডাউনের তল্লাশি শেষে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর শেখ ব্রাদার্সের ঘাট থেকে ৩৬টন ৪৭০ কেজি গম বোঝাই ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-৭৪৩৮) করে বগুড়ার শান্তাহার আজমির ফ্লাওয়ার মিলের উদ্দেশে নওয়াপাড়া থেকে ছেড়ে যায়। গম বোঝাই ট্রাকটি কুষ্টিয়া পৌঁছুনোর পর গম চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা ট্রাক ড্রাইভারের সাথে চুক্তি করে কুষ্টিয়া শহরের বড় বাজার এলাকার খয়বার হোসেন মৃধার ছেলে রফিকুল ইসলামের নিকট গম ২ ভাগ করে এক ভাগ বিক্রয় করে। আরেক ভাগ হরিণাকু-ুর গম ব্যবসায়ী হাফিজ নামের একজনের নিকট বিক্রয় করে। এবিষয়ে অভয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় গত ৩-৪দিন আগে ট্রাক ড্রাইভার সোহাগ শেখকে ট্রাকসহ যশোর শানতলা থেকে আটক করা হয়। আটকের পর তার স্বীকারোক্তিতে প্রথমে কুষ্টিয়ার রফিকুলকে আটক করে পুলিশ। পরে হরিণাকু-ুর হাফিজকে আটক করতে যায়। পুলিশ সেখানে গিয়ে জানতে পারে গম চোর সিন্ডিকেটের সদস্য হাফিজ আলমডাঙ্গা মেসার্স সাগর ট্রেডার্সের মালিক জহুরুল ইসলামের ছেলে সাগরের নিকট চোরাই গম বিক্রয় করতে নিয়ে আসে। তারই সূত্র ধরে গতকাল মঙ্গলবার রাতে অভয়নগর থানা পুলিশ আলমডাঙ্গা হাজিমোড়স্থ মেসার্স সাগর ট্রেডার্সে আসে। সেখানে চোরাইকৃত গম গোডাউনে খোঁজাখুঁজি শেষে গম না পেয়ে সাগরের পিতা জহুরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভয়নগর থানায় নিয়ে যায়। এবিষয়ে মেসার্স সাগর ট্রেডার্সের মালিক জহুরুল ইসলামের ছেলে সাগরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে হরিণাকু-ুর হাফিজ ওই চোরাই গম বিক্রয় করতে নিয়ে আসে। আমি গম নিতে না চাইলে সে আবারও গম হরিণাকু-ু কুলবাড়িয়া বাজারে নিয়ে যায়। আমার বাবা এ গমের বিষয়ে কিছু জানেন না।