স্টাফ রিপোর্টার: দ্বিতীয় শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষার আগেই চুয়াডাঙ্গার সরকারি দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির দিনক্ষণ নির্ধারণ করায় অনেক অভিভাবক বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তারা বলেছে, দ্বিতীয় শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই বিদ্যালয় থেকে তৃতীয় শ্রেণির ছাড়পত্র নিতে অনেক বিদ্যালয়ই তা দিচ্ছে না। কোনো কোনো বিদ্যালয় থেকে অভিভাবকদের নিয়ে হাসি তামাসা করে বলছেন, ফল প্রকাশেল পূর্বেই ছেলে মেয়েদের উত্তীর্ণ হওয়া শ্রেণীর টিসি চাওয়া কি বোকামি নয়?
চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ভি. জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয় গত …. ডিসেম্বর। এ পরীক্ষায় ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের আগামী ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ও ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার ভর্তির জন্য দিনক্ষণ নির্ধারণ করে দেয়া হয়। অপরদিকে অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনসহ শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর। সে হিসেবে পরীক্ষা ফল প্রকাশের আগেই তৃতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ বলে দাবি করে ছাড়পত্র চাওয়া এবং পাওয়া নিয়ে হাস্যরসের খোরাক হওয়ার এক পর্যায়ে গতকাল ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল হোসেন উজ্জ্বলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যেহেতু ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই ভর্তির কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশনা রয়েছে, সেহেতু পূর্বেই ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর ভর্তির দিন নির্ধারণ করা হয়। তবে এ দুদিনে ভর্তির ফরমসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হলেও যদি কোনো অভিভাবক ছাড়পত্র ওই ফল প্রকাশের জটিলতার জন্য ভর্তির সময় দিতে না পারেন তাহলে তা পরবর্তীতে নেয়া হবে। এতে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। তাছাড়া যে শিক্ষার্থী তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে সে দ্বিতীয় শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে না তা কি ভাবা যায়?