নবজাতক কন্যা সন্তান রেখে পরপারে চলে যেতে হলো প্রসূতি কুলছনকে

স্টাফ রিপোর্টার: পরপর দু’সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই ঝরে গেছে, তৃতীয়বারের মতো সন্তান সম্ভবা হলে পরিবারে আশার আলো জ্বলে। অস্ত্রোপচার করে এ সন্তান ভূমিষ্ঠ করা হলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি প্রসূতি কুলছনকে (২৩)। গতপরশু রোববার চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্ট হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করার পর মাত্রারিক্ত রক্তক্ষরণে প্রসূতির অবস্থা যখন আশঙ্কাজনক তখন তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। গতকাল সোমবার সেখানে নেয়ার পথে মারা গেছে কুলছন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার লক্ষ্মীপুর কালুপাড়ার মামুনের স্ত্রী কুলছন পরপর দু’বার সন্তান সম্ভবা হলেও দু দফায় সুহালে ভূমিষ্ট হয়নি সন্তান। অকালেই প্রসব হওয়ার কারণে কুলছনসহ তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কিছুটা হতাশা গ্রাস করে। দুশ্চিন্তা কাটিয়ে আবারও কুলছন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে পরিবারের সকলের মধ্যেই আশার আলো জ্বলে। প্রসব বেদনা দেখা দিলে গতপরশু রোববার চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্ট হাসপাতালে নেয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সিজারের জন্য প্রসূতিকে নেয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে। সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যা সন্তান তুলে দেয়া হয় প্রসূতির নিকটজনদের কোলে। এসব তথ্য দিয়ে কুলছনের স্বামীসহ তার সাথে থাকা নিকটজনেরা বলেছেন, দীর্ঘ সময় ধরে অপারেশন থিয়েটারেই প্রসূতিকে রাখা হয়। ডা. সাহিদা খাতুন সিজার করেন। পরে আরও একজন চিকিৎসককে ডাকা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রসূতি রোগী কুলছনকে রাজশাহী মেডিকেলে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। মেডিকেলে নেয়ার পথে কুলছন মারা যায়। তার রেখে যাওয়া কন্যা নবজাতককে পরিবারের সদস্যরা আগলে রাখলেও অনেকেই ওর দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে না পেরে বলেছেন, ওই সন্তান কোনোদিনই কি মায়ের অভাব ঘোচাতে পারবে?