দামুড়হুদার হোগলডাঙ্গায় ঘাস মারা বিষ প্রয়োগে ২০ বিঘা ভুট্টাক্ষেত বিনষ্ট

ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা দিশেহারা : কৃষি বিভাগের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ
দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার হোগলডাঙ্গায় ভুট্টাক্ষেতে ঘাস মারা বিষ প্রয়োগ করে ৮জন কৃষকের প্রায় ২০ বিঘা জমির ভুট্টাক্ষেত বিনষ্টের পথে। ক্ষেতের বেশিরভাগ ভুট্টা গাছের শেঁকড় পচে গাছ শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। কয়েক লাখ টাকা ক্ষতির মুখে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। এ ঘটনার জন্য তারা স্থানীয় কীটনাশক বিক্রেতাকে দায়ী করেছেন। বিষয়টিতে সংশ্লিষ্ট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের এলাহী ম-লের ছেলে আনোয়ার চলতি মরসুমে গ্রামেরই চাঁন্দামারির বিল মাঠে দেড় বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেন। একইভাবে গ্রামের তালেব ম-লের ছেলে কামরুল ইসলাম ৩ বিঘা জমিতে, খবির উদ্দীনের ছেলে মারুফ দেড় বিঘা, নবীছদ্দিনের ছেলে আজিজুল হক ২ বিঘা, মসলেমের ছেলে আ. খালেক ১ বিঘা, তাহার আলীর ছেলে ওলিল ১ বিঘা, সিদ্দিক আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী ২ বিঘা এবং নজিরের ছেলে জয়নাল দেড় বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেন। এরা সকলেই বর্গা চাষি। সম্প্রতি ভুট্টার ক্ষেতে ঘাস মারার জন্য গ্রামেরই কীটনাশক বিক্রেতা আনিছুর রহমানের দোকান থেকে ঘাস মারা বিষ ক্রয় করে ভুট্টার ক্ষেতে প্রয়োগ করে। ঘাস মারা বিষ প্রয়োগের ফলে ওই সমস্ত ভুট্টার ক্ষেতের বেশকিছু গাছ শুকিয়ে মরতে শুরু করে। ক্ষতিগ্রস্ত চাষি আনোয়ার বলেছেন, আমি ভুট্টা ক্ষেতের ঘাস মারার জন্য গ্রামেরই আনিছুরের দোকান থেকে ওই বিষ ক্রয় করে জমিতে দেয়ার পরপরই গাছ শুকিয়ে যেতে শুরু করে। আমাকে কেন ওই বিষ দেয়া হলো। আমি একজন বর্গা চাষি। আমাদের ক্ষতিপূরণ কে দিবে ? ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য চাষিরাও একইভাবে বলেছেন আমাদের প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। কীটনাশক ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আমি ওই বিষ ভুট্টার ক্ষেতে দিতে নিষেধ করেছিলাম। তারপরও ওরা আমার কথা শোনেনি। গ্রামের চাষিরা অনেকটাই হুজুগে মাতাল। একজন চাষি জমিতে ঘাস মারার জন্য যে বিষ কিনবে তার দেখা দেখি সকলেই ওই বিষ নেবে। তাদের বুঝিয়েও পারা যাবে না। সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের গাফিলতির অভিযোগ তুলে এলাকার সচেতন মহল বলেছেন, যদি কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের সঠিকভাবে পরামর্শ দেয়া হতো তাহলে এতো বড় ক্ষতি হতো না। এ ঘটনার জন্য দায়ী কে আর এর দ্বায়ভারই বা কে নেবে?