সন্ধ্যারাতে বিছানায় বিড়ির আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ভাংবাড়িয়ার বাদল প্রামাণিকের

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: সন্ধ্যারাতে বিছানায় বিড়ির আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়ার অল্প বুদ্ধিসম্পন্ন কৃষক বাদল প্রামাণিকের। গত মঙ্গলবার দিনগত সন্ধ্যারাতে এশার আজানের সময় অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। বাদল প্রামাণিকের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনাকে গ্রামের অনেকেই রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া গ্রামের মৃত বাবু প্রামাণিকের ছেলে বাদল প্রামাণিক (৬৪) কৃষক ছিলেন। গতপরশু মঙ্গলবার দিনগত সন্ধ্যারাতে এশার আজানের সময় নিজ ঘর থেকে গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
পরিবার ও প্রতিবেশীসূত্রে জানা গেছে, মৃত বাদল প্রামাণিক বিছানায় ঘুমিয়ে গেলে তার বিড়ির আগুন বিছানা, লেপকাঁথা ও শরীরের পোশাকে লেগে যায়। এক পর্যায়ে আগুনের লেলিহান শিখা শরীরে লেগে গেলে তিনি আর্তচিৎকার করেন। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে নেয়।
এ অগ্নিদগ্ধে মৃত্যুর ঘটনায় গ্রামের অনেকেই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছেন। তারা ঘটনাটিকে রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন। সন্দেহের কারণ সন্ধ্যায় একজন মানুষ কীভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেলেন? আগুন লাগার সাথে সাথে তার চিৎকার করার কথা এবং পরিবারের লোকজনের ছুটে আসার কথা। বাদল প্রামাণিক কাজকর্ম করতে চাইতেন না বলেই সংসারে অশান্তি ছিলো বলে তাদের দাবি।
এদিকে, মৃত বাদল প্রামাণিক বেশ কয়েক বছর ধরে মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন বলে পরিবারের দাবি। যখন আগুন লাগে সে সময় তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুন শরীরে লেগে ঘুম ভাঙলেও তিনি কম বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়ায় নিজেকে বাঁচাতে পারেননি বলে জানা গেছে।