প্রাইভেটকার চালানো শিখতে গিয়ে আলমডাঙ্গা পৌর কাউন্সিলর সামসাদ রানু ঘটালেন বিপত্তি

ব্যাডমিন্টন খেলারত ২ শিশুর উপর দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারানো গাড়ি উঠে পা ভাঙাসহ মারাত্মক জখম
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: প্রাইভেটকার চালানো শিখতে গিয়ে আলমডাঙ্গা পৌর কাউন্সিলর সামসাদ রানু ঘটালেন বিপত্তি। ব্যাডমিন্টন খেলায় ব্যস্ত ২ শিশুর শরীরের ওপর দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারানো গাড়ি উঠে এক শিশুর পা ভেঙে গুড়িয়ে গেছে। অন্য শিশুটিও রক্তাক্ত জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সামসাদ রানু। তিনি সম্প্রতি প্রাইভেটকার কিনেছেন। সদ্য কেনা প্রাইভেটকার চালানো শেখার জন্য গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টায় তিনি আলমডাঙ্গা শহরের বি-টিম ফুটবল মাঠে যান। ফাঁকা মাঠে প্রাইভেটকার চালানো শেখার এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি মাঠের পাশের ব্যাডমিন্টন কোর্টের ভেতর ছুটে যায়। সে সময় গাড়ির চাপায় মারাত্মক আহত হয় ব্যাডমিন্টন খেলায় মত্ত ২ হতদরিদ্র শিশু। এরপর নিয়ন্ত্রণ হারানো গাড়িটি বেশ খানিকটা দূরের খাদের ভেতর গিয়ে পড়ে। মারাত্মক জখম ২ শিশু হলো আলমডাঙ্গার রাধিকাগঞ্জের আচার বিক্রেতা বাবুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুপুত্র রাকিব ও একই পাড়ার রাকিবের বন্ধু সঞ্জু। সঞ্জু দিনমজুর কুটির ছেলে। রাকিবের পায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চলে যাওয়ায় তার একটি পা ভেঙে গুড়িয়ে গেছে। আর গাড়ির ধাক্কায় দূরে ছিটকে পড়ে সঞ্জু। তার চিবুক ও মুখম-লসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এ সময় ২ অবুঝ শিশুর আর্তচিৎকারে পরিবারসহ প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। উত্তেজিত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী। কাউন্সিলরের বিচার দাবি করেন পাড়ার ক্ষুব্ধ মহিলারা। এ ঘটনায় শহরে প্রচ- নিন্দার ঝড় ওঠে। এদিকে রক্তাক্ত ২ অবুঝ শিশুকে নিয়ে বিপাকে পড়েন সকলে। তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিতে টাকা পয়সা যোগাড় করতে করতে একটু দেরি হয়ে যায়। পরে রাকিবকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতে এ সংবাদ লেখাবধি ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলো। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক কুতুব উদ্দিন জানান, আহত রাকিবের ভাঙা পায়ে প্লাস্টার করা হয়েছে। এখন সে শঙ্কামুক্ত। অপর আহত শিশু সঞ্জুকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা শহরের শেফা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাইভেটকারটি (ঢাকা মেট্রো-ক-০২-৩০৪৪) উদ্ধার করে পুলিশ থানা হেফাজতে নিয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা দায়ের হয়নি।