জীবননগর নতুন তেঁতুলিায় বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে যেয়ে হতভম্ব প্রশাসন

জীবননগর ব্যুরো: বাল্যবিয়ের আয়োজন বন্ধ করতে যেয়ে হতভম্ব হতে হয়েছে প্রশাসনকে। বিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে ইউএনও সেলিম রেজা জানতে পারলেন ৬ মাস পূর্বেই এ বাল্য বিয়ে অত্যন্ত গোপনে সম্পন্ন করা হয়েছে। বর-কনে দিব্যি ঘর-সংসারও করছেন। দু পরিবার অনেকটা শখের বশে আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে করছেন খানাপিনার এ আয়োজন। কিন্তু প্রশাসন শেষ পর্যন্ত ওই আয়োজনও বন্ধ করে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার জীবননগর উপজেলার নতুন তেঁতুলিয়া গ্রামে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নতুন তেঁতুলিয়া গ্রামের মুক্তার হোসেন ও গঙ্গাদাসপুরের সহিদ দুজন গরুব্যবসায়ী। সেখান থেকে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব। অবশেষে বেয়াই পাতান দুজনে। সম্পর্কের পূর্ণতা দিতে মুক্তার তার নাবালিকা মেয়ে মুন্নির (১৪) সাথে শহিদের ছেলে আলমের ৬ মাস পূর্বে বিয়ে দেন। অত্যন্ত গোপনে সম্পন্ন করা হয় এ বাল্যবিয়ে। বিয়ের পর কনেকে তুলে দেয়া হয় বরের হাতে। গত ৬ মাস ধরে তারা ঘর-সংসারও করছে। এ অবস্থায় উভয় পরিবার একটু অনুষ্ঠানিকতা করার জন্য গতকাল আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে মেজবানি আয়োজন করে। বাল্যবিয়ের এ খবর পান ইউএনও সেলিম রেজা। বিয়ে বন্ধ করতে যেয়ে তিনি ঘটনা শুনে হতভম্ব হয়ে পড়েন। বন্ধ করে দেন বিবাহোত্তর এ আনুষ্ঠানিকতা।