হ্যামিল্টন টেস্টে দিনশেষে স্বস্তিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: জিত রাভালের দাপটে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শুরু হয়েছে। মাঝে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি। তবে সাতে নেমে ওয়ানডে মেজাজে হাফসেঞ্চুরি করলেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। শেষ বেলায় সেই গ্র্যান্ডহোমের উইকেটটিও তুলে নিয়েছে ক্যারিবীয়রা। দিনশেষে ২৮৬ রানের মধ্যে কিউইদের সাতটি উইকেট তুলে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাই হ্যামিল্টন টেস্টে খানিকটা স্বস্তিতেই প্রথম দিন পার হয়েছে সফরকারীদের।

টস হেরে ব্যাট হাতে নামলেও কিউইদের শুরুটা ছিলো দারুণ। নিউজিল্যান্ডকে ভালো শুরু এনে দেন টম ল্যাথাম ও জিত রাভাল। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন তোলেন ৬৫ রান। ২২ রানে আউট হওয়া ল্যাথামের উইকেট ছিল প্রথম সেশনে ক্যারিবিয়ানদের একমাত্র প্রাপ্তি। দ্বিতীয় উইকেটে কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে আরেকটি দারুণ জুটি গড়েন রাভাল। ১ উইকেট হারিয়েই দেড়শ পেরিয়ে যায়নিউজিল্যান্ড।

ক্যারিবিয়ান বোলারদের দাপট শুরু হয় এরপর থেকেই। ৪৩ রানে উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে ৮৯ রানের জুটি ভাঙেন মিগুয়েল কামিন্স। বোলিংয়ে ছন্দ ফিরে পান রোচ-গ্যাব্রিয়েলরা। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট বোলারদের ব্যবহার করেন দারুণভাবে। শুরুতে খরুচে থাকা গ্যাব্রিয়েল দারুণ এক ডেলিভারিতে ৮৪ রানে ফেরান রাভালকে। টেলর-নিকোলসরা লম্বা সময় টিকতে পারেননি। ১ উইকেটে ১৫৪ থেকে নিউজিল্যান্ডের রান হয়ে যায় ৫ উইকেটে ১৯৮।

সেখান থেকে কিউইদের উদ্ধার করেন আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। মিচেল সাঁটনারের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৭৬ রানের জুটি। দ্বিতীয় নতুন বল স্যান্টনারকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন গ্যাব্রিয়েল। এই ফাস্ট বোলার দিনের শেষভাগে ফিরিয়ে দেন ডি গ্র্যান্ডহোমকেও। ৫ চার ও ৪ ছক্কায় এই অলরাউন্ডার করেন ৫৮ রান। তাই দিনের প্রথমভাগ তাই নিউজিল্যান্ডের, দ্বিতীয় ভাগ পুরোপুরি ওয়েস্ট ইন্ডিজের।