জীবননগরে জেলা লেখক সংঘের অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ

তৃণমুল পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতা যুগান্তকারী পদক্ষেপ
স্টাফ রিপোর্টার: তৃণমুল পর্যায়ের এ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান চুয়াডাঙ্গা জেলা লেখক সংঘের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। জেলাব্যাপী সংস্কৃতির ক্ষেত্রে প্রতিভা অন্বেষণে চুয়াডাঙ্গা জেলা লেখক সংঘ যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা শুধু জেলা নয় সারা দেশের মধ্যে এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিগণিত হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা লেখক সংঘের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী জীবননগর সাহিত্য পরিষদ চত্বরে জীবননগর উপজেলার প্রতিযোগীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত কবিতা আবৃত্তি, ছবি অঙ্কন, হস্তলিখন ও সঙ্গীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, জেলার প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জ থেকে প্রতিভা অন্বেষণের এ পদক্ষেপ পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের নিজেদেরকে বিকশিত করার সুযোগ করে দেবে। অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক কেরু অ্যান্ড কোং (বিডি লি.) দর্শনার সিনিয়র ডিজিএম ও জেলা লেখক সংঘের সভাপতি ডা. শাহীনূর হায়দার বলেন, সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে আমাদের শিশু কিশোরদের মধ্য থেকেই বেরিয়ে আসবে একজন বঙ্গবন্ধু, একজন শেখ হসিনা, একজন মাদার তেরেসা। প্রতিভা অন্বেষণের এ ধারা আগামীতে বৃহত্তর কলেবরে অব্যাহত থাকবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ আমলের সভাপতিত্বে এ জনাকীর্ণ অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক ছিলেন জেলা লেখক সংঘের উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক (অব.) আব্দুল গফুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা লেখক সংঘের সহ-সভাপতি শিক্ষক আকলিমা খাতুন। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শোয়েব দরবেশ, আব্দুল আলীম, অর্থ সম্পাদক রাজিয়া আক্তার রেখা, শামীমা আখতার, শিক্ষক নজরুল ইসলাম, ডা. ইসাহাক আলী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ময়নুল হাসান, শিক্ষক আমেনা খাতুন, আজিজ হোসেন, হারুন-অর-রশিদ, আব্দুল মোতালেব প্রমুখ। অনুষ্ঠান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন জীবননগর সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান। অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন ও পরিচালনায় ছিলেন অপ্রতিরোধ্য প্রেমের কবি ময়নুল হাসান।