উন্নয়ন মেলার মাধ্যমে তরুণ উদ্ভাবকদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটবে

চুয়াডাঙ্গায় উন্নয়ন মেলার আয়োজন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ

স্টাফ রিপোর্টার: দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় ৩ দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হবে। প্রতিবারের মতো এবারও জাঁকজমকভাবে ওই মেলার আয়োজন করবে জেলা প্রশাসন।
উন্নয়ন মেলার আয়োজন উপলক্ষে গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এর প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জসিম উদ্দীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা ও জীবননগর সার্কেল) কলিমুল্লাহ। এছাড়াও প্রস্তুতিমূলক সভায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, আগামী ৯, ১০ ও ১১ জানুয়ারি দেশের অন্যান্য জেলার মতো চুয়াডাঙ্গাতেও উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হবে। এবারও জেলার টাউন ফুটবল মাঠে মেলার ভেন্যু হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শুরু হবে মেলার প্রথম দিনের কার্যক্রম। পূর্বের মতো থাকছে মেলায় অংশ নেয়া প্রতিটি দফতরের স্ব-স্ব কার্যক্রমের উপস্থাপনা, কুইজ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা। এছাড়া সন্ধ্যার পর থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবারের উন্নয়ন মেলায় সত্তোরাধিক স্টল থাকবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, চাহিদা অনুযায়ী স্টলের সংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধি হতে পারে। উন্নয়ন মেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি দফতরের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকতে পারেন। অন্যান্য বারের চেয়ে এবারের উন্নয়ন মেলা একটু ব্যতিক্রম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তৃতীয় দিন পুরস্কার বিতরণের মধ্যদিয়ে শেষ হবে মেলার আনুষ্ঠানিকতা। সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজে তরুণদের অনুপ্রাণিত করতে হবে। সামনে অগ্রসর হতে তাদের উৎসাহ দিতে হবে। উন্নয়ন মেলার মাধ্যমে তরুণ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটবে। যারা ভালো কাজ করে থাকে মেলায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে মেলার আয়োজনকে স্বার্থক করতে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন জেলা প্রশাসক।