শ্রমিকদের দাবি আদায়ে কেরুজ চিনিকলে বিক্ষোভ ও ফটকসভায় বক্তারা

আমাদের ন্যায্য দাবি পূরণের পরই আন্দোলনের মাঠ ছাড়বো
দর্শনা অফিস: জাতীয় মজুরি স্কেল ২০১৫ ঘোষণা ও বাস্তবায়ন দাবিতে দর্শনা কেরুজ চিনিকলে ফটকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কেরুজ চিনিকলের ডিস্টিলারি গেটের সামনে অনুষ্ঠিত ফটকসভার সভাপতিত্বে করেন কেরুজ চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলী। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেছে। বিসিআইসি, ইস্পাত প্রকৌশল করপোরেশন, চিনিকল ও এফআইডিসি শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সমন্বয়ে গঠিত সেক্টর করপোরেশন শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশন সমন্বয় পরিষদের আহ্বানে শ্রমিক কর্মচারীদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বক্তব্য দেন, কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, সহসভাপতি ফারুক আহম্মেদ, যুগ্মসম্পাদক খবির উদ্দিন, সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, শ্রমিক নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, ফিরোজ আহমেদ সবুজ, জুলফিকার হায়দার, রেজাউল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন, বাবর আলী, আমিরুল ইসলাম প্রমুখ। সভায় বক্তরা বলেন, গোটা দেশে শ্রমিকরা আজ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে রয়েছে বঞ্চিত। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি বারবার হয়েছে উপেক্ষিত। তাই আমরা শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় দলমত নির্বিশেষে সকল ভেদাভেদ ভুলে একা কাতারে দাড়িয়ে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দুর্বার আন্দোলন তুলেছি। আমরা বরাবরাই শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষ কাজ করেছি। আন্দোলনের মাঠে কাধে কাধ রেখে এগিয়ে চলেছি রাজপথে। এবারও আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের মাঠ ছাড়বো না। তাই আসুন শ্রমিক-কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলি। দাবির মধ্যে রয়েছে, সর্বনি¤œ ৮ হাজার ৭৫০ টাকা, সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা প্রাম্ভিক মজুরি নির্ধারণ করে জাতীয় মজুরি স্কেল ২০১৫ ঘোষণা ও ১ জুলাই বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই সাথে মজুরি কমিশনকে পে-কমিশনে অন্তর্ভুক্তি করতে হবে। এ দাবি আদায়ে গোটা দেশের শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছে আন্দোলনের মাঠে।