স্টাফ রিপোর্টার: সড়ক দুর্ঘটনায় বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের মৃত্যুর ঘটনায় আনা ক্ষতিপূরণ মামলার হাইকোর্টের রায় ঘোষণা অব্যাহত রয়েছে। বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজি ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির এ রায় ঘোষণা গতকাল বৃহস্পতিবার শুরু হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো রায় ঘোষণা শেষে রোববার পর্যন্ত বিষয়টি মুলতবি রাখা হয়। এ মামলায় আদালতে তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদের পক্ষে শুনানি করেন ড. কামাল হোসেন। চুয়াডাঙ্গা বাস মালিকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সুবহান তরফদার ও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইসরাত জাহান। ২০১৬ সালের ১৩ মার্চ হাইকোর্টে এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। আদালতে ক্যাথরিন মাসুদের পক্ষে ৭ জন, বাস মালিক সমিতির পক্ষে ৫ জন ও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষে একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ এবং এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিশুক মুনীরসহ ৫ জন মর্মান্তিকভাবে নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। এরপর ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মানিকগঞ্জে মোটরযান অর্ডিনেন্সের ১২৮ ধারায় বাসমালিক, চালক ও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে দুটি মামলা করেন। সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে এ দুটি মামলা হাইকোর্টে বদলির নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়। তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ এবং মিশুক মুনীরের স্ত্রী কানিজ এফ কাজি ও ছেলে সুহৃদ মুনীর দুটি আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৩ সালের ৩ অক্টোবর রুল জারি করে হাইকোর্ট। এ রুলের শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর দুই আবেদন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী বিচারপতি জিনাত আরার নেতৃত্বাধীন এ হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলা দুটির শুনানি শুরু হয়। এর মধ্যে তারেক মাসুদের মামলার শুনানি শেষ হলো। অপরটির শুনানি ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি রয়েছে।