প্রেমের টানে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গায় প্রেমিকের বাড়িতে কিশোরী সুমনা

স্টাফ রির্পোটার: প্রেমের টানে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা নীলমনিগঞ্জে কিশোরী সুমনা। সুমনা নীলফামারী জেলার ভালুগঞ্জ গ্রামের সাবুল মিয়ার মেয়ে। সে ঢাকা উত্তরায় একটি বাসায় গৃহপচারিকার কাজ করে। মোবাইলফোনে চুয়াডাঙ্গার নীলমনিগঞ্জের অর্জুন কুমার সাহার ছেলে নয়ন কুমার সাহার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে সুমনা।
অবশেষে দুজনের সম্মতিতে বিয়ের জন্য সুমনা গতকাল শনিবার দুপুরের পর ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা নীলমনিগঞ্জে নয়ন কুমারের বাড়ি উপস্থিত হয়। এসে জানতে পারে নয়ন ভিন্ন ধর্মের তার ওপর বয়স কম। গ্রামবাসী জানতে পেরে চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় কিশোরী সুমনাকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সুমনাকে থানা হেফাজতে রেখে আইন আনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানায় থানা পুলিশ।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নীলমনিগঞ্জ গ্রামের সাইকেল মিস্ত্রি আর্জুন কুমার সাহা’র ছেলে নয়ন কুমার সাহার সাথে আড়াই বছর আগে মোবাইলফোনে পরিচয় হয় সুমনার। সুমনা নীলফামারী জেলার ভালুগঞ্জ গ্রামের সাবুল মিয়ার মেয়ে। পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে গত ৮ মাস আগে ঢাকার উত্তরার জনৈক ব্যক্তির বাসা বাড়িতে কাজ করতে যায়। এখান থেকে তাদের সম্পর্ক আরও গাড়ো হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা উভয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করবে। সে কারণে ঢাকা থেকে এসে গতকাল শনিবার দুপুরের পর নীলমনিগঞ্জে নয়ন কুমারের বাড়ি চলে আসে। সুমনা ও নয়ন কুমার ভিন্ন ধর্মের তার ওপর তাদের বয়স কম। এ অবস্থায় চেয়ারম্যান ও কয়েকজন ইউপি সদস্য কিশোরীকে সদর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। স্থানীয় মোমিনপুর ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য ও নারী সদস্য আলীয়া খাতুন জানান, নয়ন ও সুমনা আড়াই বছর ধরে মোবাইলফোনে সম্পর্কের কারণে দুজনে বিয়ে করার জন্য একত্র হয়। তাদের বয়স কম ও ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় মেয়েটাকে সদর থানার হেফাজতে তুলে দেয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক জানান, সুমনা নীলফামারীর ভালুগঞ্জ গ্রামের সাবুল মিয়ার মেয়ে। মোবাইলফোনে সম্পর্কের কারণে নীলমনিগঞ্জ নয়নের বাড়ি উপস্থিত হলে এলাকার কয়েকজন মেম্বার সুমনাকে সদর থানা হেফাজতে তুলে দেয়। এ অবস্থায় আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।