দর্শনায় জন্ডিসের চিকিৎসা নিতে এসে পরস্ত্রী ভাগিয়ে নেয়ার ঘটনায় মিরপুরের ২ যুবক ফেঁসে গেছে

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: দর্শনায় জন্ডিসের চিকিৎসা নিতে এসে পরস্ত্রী হাতিয়ে আলমডাঙ্গায় ২ ঘন্টার জন্য ঘরভাড়া নেয়ায় সময় কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার ২ যুবক ফেঁসে গেছে। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের নিকট থেকে সুন্দরী স্ত্রীকে তার স্বামী বাড়িতে নিয়ে গেলেও প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের খাঁচায় বন্দি ওই দু’যুবক।
জানা গেছে, যশোর কৈখালীর জিয়াউর রহমানের স্ত্রী স্মৃতি খাতুনের (২২) বাপ যশোর ঝাউদিয়ার আবুল কাশেম মিস্ত্রি জন্ডিসে আক্রান্ত। বাপের চিকিৎসার জন্য ৩ বছরের এক কন্যাশিশুর মা সুন্দরী স্মৃতি খাতুন গত ১১ দিন আগে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় এক কবিরাজের বাড়ি যান। সেখানে তার পরিচয় হয় জন্ডিসে আক্রান্ত কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার বড় আইলচারার নিয়ামত আলীর ছেলে ফজলুর রহমানের (২৫)। ফজলু এক পর্যায়ে সুন্দরী গৃহবধু স্মৃতি খাতুনের মোবাইলফোন নম্বর চেয়ে নেন। পরে স্মৃতি খাতুনকে রিং দেন। কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক দানা বাধে। এক পর্যায়ে তারা উভয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ে করার। বাপের চিকিৎসার কথা বলে স্মৃতি খাতুন গতকাল বৃহস্পতিবার দর্শনায় আসেন। এদিকে, ফজলু ও তার এক বন্ধু একই উপজেলার সুগন্ধা গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে রাজিবকে নিয়ে দর্শনায় পৌঁছে। পরে সকলেমিলে মহানন্দা ট্রেনে গতকাল দুপুরে আলমডাঙ্গা স্টেশনে নামেন। আলমডাঙ্গায় তারা মাত্র দু’ঘন্টার জন্য ঘরভাড়া করতে চেষ্টা করে। সে সময় অনেকের সন্দেহ হলে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে জানায়। এসআই মোহাব্বত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রথমে তারা স্বামী-স্ত্রী বলে নিজেদের পরিচয় দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সবকিছু ফাঁস হয়ে যায়। তাদেরকে নিয়ে আসা হয় থানায়। সংবাদ পেয়ে স্মৃতি খাতুনের স্বামী আলমডাঙ্গা থানায় হাজির হন। তিনি স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে স্মৃতি খাতুন নিজের ভুল স্বীকার করে স্বামীর সংসারে ফিরে যেতে চাই। পরে পুলিশ স্বামীর জিম্মায় স্মৃতি খাতুনকে মুক্তি দেয়। তবে প্রেমিকার সাথে প্রতারণার অভিযোগে ফজলু ও তার বন্ধু রাজিবকে আটকে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।
ছবিঃ আটক দু যুবক।