চুয়াডাঙ্গায় ও ঝিনাইদহে ৭ দফা দাবিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি

স্টাফ রিপোর্টার: ৭ দফা দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি করেছে চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল রোববার সকাল ৯টা থেকে বেলা ৫টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। এসময় সড়ক ও জনপথ শ্রমিক ইউনিয়ন চুয়াডাঙ্গা শাখার সভাপতি মকবুল হোসেন, সহ-সভাপতি মাহবুব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, প্রচার সম্পাদক লাল মিয়াসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ৭ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। অন্যান্য কর্মচারীদের মত নিয়মিত দফতরে আসলেও সরকারি কোষাগার থেকে বেতনভাতাসহ বিভিন্ন সুবিধা থেকে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদেরকে নিয়মিতকরণের পর মাস্টাররোল কর্মচারীদেরকেও নিয়মিত সংস্থাপনে আনতে হবে। পূর্বের মত মাস্টাররোল কর্মচারীদেরকে জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী শ্রেণিভিত্তিক সারাদেশে একই হারে দৈনিক মজুরী নির্ধারণ করতে হবে। অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারী দেন বক্তারা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ৫ দিনব্যাপী পূর্ণদিবস কর্মবিরতি করবে সংগঠনটি।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছে, ৭ দফা দাবি আদায়ে কর্মবিরতি পালন করেছে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মচারীরা। গতকাল রোববার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ কর্মবিরতি চলবে আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এ উপলক্ষে সকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান ফটক থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে কর্মবিরতি পালন করেন কর্মচারীরা। এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি শরিফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আবুল হোসেন, মোশাররফ হোসেন, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক তাজুল ইসলাম, জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মকলেচুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, অনেকে দীর্ঘ ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরী করেও সরকার থেকে কোনো কিছু না পেয়ে বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এছাড়াও অল্প কিছুদিনের মধ্যে আরও অনেকে চাকরির মেয়াদ পূর্ণ করবেন অথচ মেয়াদ শেষে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। বক্তারা, সারা দেশে সড়ক ও জনপথ বিভাগে ৭ হাজার ৫৯ ওয়ার্কচার্জ শ্রমিক কর্মচারীদেরকে নিয়মিত করাসহ ৭ দফা দাবি পেশ করেন। দ্রুত এ দাবি মানা না হলে আগামীতে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি প্রদান করেন তারা।