সরকারি হাইস্কুলে ভর্তি ফরমের ফি বাড়লো

স্টাফ রিপোর্টার: সরকারি হাইস্কুলে ভর্তি ফরমের ফি ২০ টাকা বাড়িয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী বছরের ভর্তি নীতিমালায় এ ফি বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিলো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। গতকাল রোববারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ভর্তি নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটি তা অনুমোদন করে। এর ফলে এবার ভর্তি ফরম কিনতে পড়বে ১৫০ টাকার পরিবর্তে ১৭০ টাকায়।
বৈঠকসূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে সরকারি হাইস্কুলগুলোতে প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এছাড়া ৬ষ্ঠ ও ৯ম শ্রেণি ছাড়া সব ক্লাসে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় পাঠ্যপুস্তকের বাইরে কোনো প্রশ্ন তৈরি করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভার সিদ্ধান্থ অনুযায়ী, বদলি শিক্ষার্থীদের ছয় মাসের মধ্যেই ভর্তি হতে হবে। যদি কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবক বদলি হয়ে আসার ছয় মাস পর ভর্তির জন্য আবেদন করেন, তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
অন্যদিকে, সভায় এসএসসির বয়স নিয়ে আলোচনা হয়। দু’একজন সদস্য বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বয়সের বিধান বর্তমানে যা আছে, প্রথম শ্রেণির ভর্তির বয়স বিবেচনায় নিলে তা সাংঘর্ষিক হয়। কেননা, প্রথম শ্রেণি

ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স ৬ প্লাস নির্ধারিত আছে। সে হিসাবে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বয়স ১৬ প্লস হয়ে যায়। এমন আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা হয়, ন্যূনতম ১৫ প্লাস বয়সসীমা এসএসসি পরীক্ষার্থী হতে পারবে। এছাড়া ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি ফরম বিতরণ ও ভর্তি পরীক্ষা শেষ করতে হবে। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হবে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদ বলেন, সরকারি হাইস্কুলে ভর্তি নীতিমালা তৈরিতে ভর্তি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাউশির বিভিন্ন সুপারিশের ভিত্তিতে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের সরকারি স্কুলে ভর্তিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের সম্মতির ভিত্তিতে তা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভর্তি ফরমের দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০১১ সালের পর থেকে সরকারি স্কুলে ভর্তি ফরমের দাম বৃদ্ধি করা হয়নি। এ ছাড়াও ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে শিক্ষকদের বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এসব কারণে সবার পরামর্শে ফরমের দাম বাড়ানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন সিদ্ধান্তগুলো ভর্তি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে তা প্রকাশ করা হবে।

এদিকে সরকারি হাইস্কুলে ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত হলেও ফরম বিতরণ ও পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারিত হয়নি। মাউশিকে এটি চূড়ান্ত করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সংস্থাটির উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) এ কে এম মোস্তফা কামাল জানান, সভার কার্যবিবরণী পাওয়ার পর ফের বৈঠক করে পরীক্ষা সংক্রান্ত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।