কুমারী মায়ের সন্তান নিয়ে বাড়ি ফিরতে সময় লাগবে কয়েক দিন

মানবতা ফাউন্ডেশন নেতৃবৃন্দ দেখতে গিয়ে নবজাতকের নাম রাখলেন আকাশ
স্টাফ রিপোর্টার: পুত্র সন্তান জন্ম দেয়া পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর অনবরত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। কবে নাগাদ তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হতে পারে তা গতকাল পর্যন্ত ছিলো অনিশ্চিত। কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেছেন, যেহেতু অপ্রাপ্ত বয়সে সন্তান ধারণ ও প্রসব করেছে সেহেতু রক্তক্ষরণসহ নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে আকাশ। মানবতা ফাউন্ডেশনের পরিচালক দেখতে গিয়ে এ নাম রাখেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের আলুকদিয়া ইউনিয়নের পিরপুর মাঝেরপাড়ার হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়ে। সে অভিযোগ করে বলে, প্রাইভেট পড়তে গেলে গ্রামেরই চাঁন তাকে ধর্ষণ করে। চাঁন গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি জমায়। কিশোরী অন্তঃস্বত্ত্বার বিষয়টি জানাজানি হলে গত জুলাইয়ে চাঁনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। চাঁনের পরিবারের পক্ষে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়, কিশোরী অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ার আগেই চাঁন ঢাকায় গিয়ে একটি কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে ঢাকাতেই অবস্থান করছে। অবশ্য পরে চাঁন আদালতে অত্মসমর্পন করে। চাঁন সেই থেকে জেলহাজতেই রয়েছে। এরই মাঝে গত পরশু রাতে অন্তঃস্বত্তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ভর্তির কিছুক্ষনের মাথায় রাত ১১ টা ৪০ মিনিটের দিকে এক ফুটফুটে পুত্র সন্তান প্রসব করে সে। গতকাল প্রসূতি ও তার সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তান দেখতে চুয়াডাঙ্গা মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার, তথ্য কর্মকর্তা অ্যাড. নওশের আলী, অপারেশন অফিসার অ্যাড. জিল্লুর রহমান জালাল, মোটিভেশন অফিসার জাকিয়া সুুলতানা ঝুমুর হাসপাতালে যান। হতদরিদ্র পরিবারের স্কুলছাত্রীর পাশে সহযোগিতার হাত বাড়ান। চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
প্রসঙ্গত: ধর্ষনের শিকার হয়ে অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়া স্কুলছাত্রীর পক্ষে আইনগত সহায়তা দিয়ে আসছে মানবতা ফাউন্ডেশন। মামলা দায়েরের পর চাঁন ওই কিশোরীর গর্ভে থাকা সন্তান অস্বীকার করেছে। ফলে আবেদনের প্রেক্ষিতে নবজাতকের সাথে চাঁনের ডিএনএ পরীক্ষার আদেশ দিয়ে রেখেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ম এর বিজ্ঞ বিচারক।