মহেশপুরে টাকা আত্মসাতের তদন্তে মুক্তিযোদ্ধাদের দুপক্ষে হট্টোগোল

মহেশপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুরে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মালেক গাজীর বিরুদ্ধে প্রায় ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের ঘটনা তদন্তে মুক্তিযোদ্ধাদের দুপক্ষে হট্টোগোলের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার মহেশপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। কমিটির প্রধান অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে এসে সাক্ষ্য নোটিশ করলে আব্দুল মালেক গাজীর নেতৃত্বে ২০-৩০জন মুক্তিযোদ্ধা সেখানে হট্টোগোল শুরু করে। তাদেরকে উক্ত কার্যালয়ে চেয়ারে বসার ব্যবস্থা করলে তারা মাটিতে বসে। বাধ্য হয়ে তদন্ত কমিটি মাটিতে বসে তাদের বক্তব্য গ্রহণের চেষ্টা করে। তারা কোনো বক্তব্য না দিয়ে হট্টোগোল সৃষ্টি করে। হট্টোগোলের পর সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মালেক গাজীর নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে এসে ইউএনও বিরোধী বক্তব্য ও বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। কিছুক্ষণ পরে তারা নিজেরাই চলে যায়।
উল্লেখ্য: যুদ্ধকালীন থানা ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শামছুল আলম মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী বরাবর একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে হাট-বাজারের অর্থ থেকে ৪% টাকা অসুস্থ দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ বাবদ অনুদান হিসেবে ৩লাখ ৩৪ হাজার টাকা ৪৪৭ জন মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই টাকা মহেশপুর সোনালী ব্যাংক শাখায় চেক প্রদান করা হয়। বরাদ্দকৃত চেকগুলি মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে হাতিয়ে নেয়। এছাড়া ২০১৭ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা হতে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধা ও মৃত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীদের কাছ থেকে নগদে ১ হাজার টাকা করে মোট ৩লাখ ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। সর্বমোট ৬লাখ ৮৮ হাজার ৪০০ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেন। তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসলিমা আক্তার জানান, গত ৯নভেম্বর সকালে অভিযুক্ত সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মালেক গাজীকে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদাণের জন্য নোটিশ করা হয়। তিনি নোটিশের বিপরীতে কোনো মন্তব্য প্রদান না করে হট্টোগোল সৃষ্টি করে।