৮ম জাতীয় মজুরি স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে চিনিকল শ্রমিক কর্মচারীদের স্মারকলিপি পেশ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা দর্শনার চিনিকল কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের শ্রমিকরা জাতীয় মজুরি স্কেল ঘোষণা ও ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়নের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। আজ বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন কেরুর শ্রমিক ও কর্মচারি ইউনিয়ন। অভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক ও কর্মচারি ইউনিয়ন। কেরুজ শ্রমিকদের স্মারকলিপি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ গ্রহণ করেন। এ সময় কেরুর শ্রমিক ও কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি মো. আবু তৈয়ব ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, সাবেক সভাপতি আজিজুল হক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্সসহ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দেশে বর্তমানে ৭০ হাজার শ্রমিক রয়েছে। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ৮ম জাতীয় মজুরি স্কেল ঘোষণা করা না হলে দাবি বাস্তবায়নে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। শ্রমিকদের প্রারম্ভিক বেতন সর্বনি¤œ ৮ হাজার ৭৫০টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে মজুরি স্কেল ঘোষণার দাবি করা হয়েছে। তারা আরো বলেছেন, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হলেও আজ পর্যন্ত মজুরি কমিশন ঘোষণা করা হয়নি। স্মারকলিপি হাতে পেয়ে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী মানার মতো যৌক্তিক দাবিগুলো সরকার মানতে পারবে।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সর্বনিম্ন ৮ হাজার ৭’শ ৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৫’শ টাকা প্রারম্ভিক মজুরি নির্ধারণের দাবিতে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চিনিকল শ্রমিকেরা। সোমবার সকালে শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে শ্রমিকেরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মোবারকগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক ও কর্মচারি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, শ্রম-ব্যবস্থাপনা সু-সম্পর্ক ও উৎপাদন এবং উৎপাদনশীলতার ধারবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি সর্বনিম্ন ৮ হাজার ৭’শ ৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৫’শ টাকা প্রারম্ভিক মজুরি আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নির্ধারণ করে জাতীয় মজুরি স্কেল ঘোষণা করতে হবে। পরে তারা তাদের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের নিকট পেশ করেন।