চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা : ২৪ নভেম্বর ভোট

সভাপতি-সম্পাদক পদে মনোনয়ন পেতে চলছে জোর লবিং : আজ সভা আহবান
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন-২০১৮’র নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তফশীল অনুযায়ী আগামী ২৪ নভেম্বর শুক্রবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল বুধবার নির্বাচন পরিচালনা উপ-পরিষদের আহবায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুর রশীদ চৌধুরী নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা করেন। নির্বাচনকে ঘিরে জেলা আইনজীবী সমিতির প্রার্থীরা ইতিমধ্যে সভাপতি-সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে জোর লবিং শুরু করেছেন। বড় দুটি রাজনৈতিক জোট নির্বাচন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পৃথক পৃথক সভা আহবান করেছে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মহ: শামসুজ্জোহা স্বাক্ষরিত খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ঘোষিত খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ি ভোটার সংখ্যা ১৬০ জন। ঘোষিত তফশীল অনুযায়ী ৬ নভেম্বর খসড়া ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি দাখিল, ১৪ নভেম্বর আপত্তির ওপর শুনানী, ১৫ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, ১৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিল, ২০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, ২২ নভেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ২৪ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পরিচালনা উপ-পরিষদের আহবায়ক কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন অ্যাড. এমএম মনোয়ার হোসেন ও অ্যাড. শহিদুল হক (২)।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী আইনজীবী ও সমমনা আইনজীবী পরিষদের আহবায়ক নুরুল ইসলাম এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক সাঈদ মাহমুদ শামীম রেজা ডালিম পৃথক সভা আহবান করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আওয়ামী আইনজীবী ও সমমনা পরিষদের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে বর্তমান বারের সভাপতি নুরুল ইসলাম এবারও প্রার্থী হবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বারের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মহ: শামসুজ্জোহা ২০১৮ সালের নির্বাচনে কোনো পদেই প্রার্থী হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন। আওয়ামী আইনজীবী ও সমমনা পরিষদের সভাপতি পদে প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন নবাগত প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম খোকন ও ইউনুছ আলী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার ও নবাগত প্রার্থী আব্দুল মালেক। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সভাপতি পদে প্রার্থী হতে একমাত্র আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বারের সাবেক সভাপতি এমএম শাহজাহান মুকুল। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে দুজন প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা হলেন, আসম আব্দুর রউফ ও মইন উদ্দীন মইনুল। বার নির্বাচনে প্যানেলের বাইরে আরো একজন প্রার্থী সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি হলেন ফজলে রাব্বী সাগর। এছাড়া আরো কেউ বড় দুটি পদে প্রার্থী হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।