বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ না পাওয়ায় কার্পাসডাঙ্গায় ছাত্রীর আত্মহত্যা

কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পাওয়ায় পারভীন নামের এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। গতপরশু সোমবার রাতে নিজের ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। মৃত্যুর আগে পারভীন একটি চিরকুট লিখে গেছে।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারপাড়ার স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী জহিরুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া পারভীন (১৯) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। গতকাল সোমবার তার রেজাল্ট বের হয়। কিন্তু পারভীন রেজাল্ট শিটে নিজের রোল নম্বর না পেয়ে অভিমান করে আত্মহত্যার পথ বেচে নেয়। মৃত্যুর আগে পারভীন একটি চিরকুট লিখে গেছে। তাতে লেখা ছিলো, আমার মুত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
পরিবারের লোকজন জানায়, গতপরশু সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ হয়। রেজাল্ট শিটে নিজের রোল নম্বরটি না পেয়ে অভিমানে গভীররাতে নিজের ঘরে বাশের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। রাতে শোয়ার সময় তার সাথে তার ছোট ভাই ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র মোহাম্মদ আলী ছিলো। ভাই ঘুমিয়ে যাওয়ার পর গভীররাতে বিছানা থেকে ওঠে জামাকাপড় দিয়ে মজারির চারিপাশ ঢেঁকে দেয় এরপর নিজের পড়ার টেবিলে একটি চিরকুট লেখে যাতে লিখা ছিলো আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। এরপর সে আত্মহত্যার পর বেঁচে নেয়। সকালে তার ছোট ভাই ঘুম থেকে উঠে দেখে তার বোন ঘরের বাঁশের আড়ার সাথে ঝুলে আছে। তার ভাই চিৎকার করলে পরিবারের লোকজন এসে লাশ নিচে নামায়। পারভীন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে অনার্সে (রাষ্টবিজ্ঞান) ভর্তি হয়ে আছে বলে জানাগেছে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দুটোতেই সাড়ে ৪ পয়েন্টের উপর ছিলো। পারভীন কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালে এসএসসি ও কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০১৭ সালে এইচএসসি পাস করে পারভীন। ছোট থেকেই ছাত্রী হিসেবে সে মেধাবী ছিলো। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে পুলিশ লাশের সুরত হাল করার পর আসর বাদ কার্পাসডাঙ্গা কবরস্থানে মরদেহের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়।