গলায় ফাঁস লাগিয়ে কিশোর বিপুলের আত্মহত্যা

চুয়াডাঙ্গার ভুলটিয়ায় কবিরাজের ওষুধ খেয়ে স্মৃতিহারা

পাঁচমাইল প্রতিনিধি: কবিরাজের ওষুধ খেয়ে স্মৃতিহারা হয়েছে বিপুল হোসেন। অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেচে নিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। গতপরশু সোমবার সন্ধ্যায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ওইদিন রাতেই তার লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়। মৃত্যুর আগে সে একটি টিরকুট লিখে গেছ বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। চুয়াডাঙ্গার কুতুবপুর ইউনিয়নের ভুলটিয়া গ্রামের আলীম উদ্দিনের ছেলে বিপুল হোসেন (১৭) কয়েক মাস আগে মাঠে গরু চরাতে যায়। সেখানে পাগল দেখে ভয় পায়। তার পর থেকে বিপুল অসুস্থ ছিলো।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিপুল লেখাপড়ায় বেশি দুর এগোয়নি। মাঠে মাঠে গরু চরায়। কয়েক মাস আগে গরু চরানোর সম্য এক পাগল দেখে ভয় পায়। তারপর থেকে বিপুলের বিভিন্ন রোগ আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এতে বিপুল মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। বিপুল মারা যাওয়ার আগে একটি চিরকুট লিখে গেছে তাতে লেখা আছে, “আমি ভয় পেয়ে ছিলাম তার জন্য অনেক কবিরাজের কাছে গাছ গাছড়া ওষুধ খেয়ে আমার মাথার চুল উঠে গেছে। বিভিন্নœ কবিরাজের গাছ গাছড়া ওষুধ খেয়ে কোনো ফয়দা হয়নি। আমি ঠিক মতো খাবার খেতে পারি না। কোনো কিছু ভালো লাগে না, তাই আমি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলাম। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমার পিছনে বড় শয়তান লেগে ছিলো। সেই শয়তান আমাকে বাঁচতে দিলো না। তবে আমার পরিবারের লোকজনের কাছে অনুরোধ আমার মতো আমার ভাইকে যেন কবিরাজের ওষুধ না খাওয়ায়। ’’
এ বিষয়ে সরোজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, আত্মহত্যা হত্যার খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে ছিলাম। সেখানে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। আত্মহত্যার জন্য কাউকে দায়ী করেনি। তবে গাছগাছড়ার ওষুধ খেয়ে তার মাথার চুল উঠে যাচ্ছে, মানুষের মধ্যে যেতে পারে না, মানসিকভাবে বিষণœতায় ভুগছিলো লেখা আছে। তাছাড়া পরিবারের লোকজনের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। গ্রামবাসির মনে একটাই প্রশা, কে সেই কোনো কবিরাজের কাছ থেকে গাছগাছড়া ওষুধ সেবন করে বিপুলের মতো যুবককে জীবন দিতে হলো। ঘাতক কবিরাজকে সনাক্ত করে সঠিক বিচার হওয়া দরকার।